‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ জামায়াত জামায়াত বলে। জামায়াত যদি দেশের গণতন্ত্রের পরিপন্থী হয় তাহলে তারা (সরকার) জামায়াতকে ব্যানড করে না কেন? ভারতেও তো জামায়াত আছে, তারা ব্যানড (নিষিদ্ধ) করে না কেন? আসলে এটা শুধু একটা পলিটিক্যাল চাল। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। এই যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার ফর্মূলা? পার্লামেন্টে সর্বপ্রথম জামায়াত ১৮ জন সংসদ সদস্য নিয়ে একটি বিল উত্থাপন করলো। আওয়ামী লীগ প্রথম দিকে তাতে সমর্থন না দিলেও জাতীয় পার্টির মওদুদ আহমদ, কাজী জাফর আহমেদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এতে সমর্থন দেন।
তিনি আরও বলেন, তখন জামায়াতের অধ্যাপক গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের ৩২ নম্বরের বাড়িতে যে বৈঠক করা হয়েছে সে ছবি এখনো আছে। সেদিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) জামায়াতের চিন্তা-চেতনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্দোলন করেছেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা হলো, পুরো দেশে প্রতিবাদ হলো। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী প্রধান গেলেন, পুলিশপ্রধান গেলেন, আসামিরাও গ্রেফতার হলো। একটু খবর নিয়ে দেখেন, আসামিরা এখন জেলখানায় আছে কি-না? কোনো খোঁজখবর নেই। হয়তো পরবর্তী হাজিরার সময় বোঝা যাবে, আদালতে হাজির করতে পারবে কি পারবে না। তাহলে আমরা কোথায় আছি? আমরা শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে আসলাম, কিন্তু আরেক শৃঙ্খলে আবদ্ধ হলাম আজীবনের জন্য।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বলা হয় চার নেতার হত্যার জন্য জিয়াউর রহমান দায়ী। শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের জিয়াউর রহমান এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ইতিহাস বলে ৩ নভেম্বর রাতের ফ্লাইটে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা বিদেশ সফরে গিয়েছেন। তখন তো খালেদ মোশাররফ ছিলেন। জিয়াউর রহমান তো ২ নভেম্বর ভোর থেকে বন্দি ছিলেন। সুতরাং খালেদ মোশাররফের সাথে আলোচনা করে জেলখানায় হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করা হয়, এ কথা বুঝতে কি কষ্ট হয়?।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাইয়েদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।