বরিশাল
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে ফরিদপুরে বাসমালিক–শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে বরিশাল বিভাগের পাঁচ জেলার সঙ্গে রাজধানীর ঢাকার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পিরোজপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রীবাহী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে বাস ধর্মঘট শুরু করেছে ফরিদপুর জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ কর্মসূচিতে জনসমাগম ঠেকাতে ‘সরকারের ইন্ধনে’ এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বরিশালে একই দাবিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর দূরপাল্লার এবং অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। একই সঙ্গে লঞ্চ, স্পিডবোট, তিন চাকার যানসহ সব ধরনের গণপরিবহন ধর্মঘট ডেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল। ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ তুলেছিলেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বরিশালে চার দিন দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হলো।
বরিশাল বাসমালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাশরেক বলেন, বৃহত্তর ফরিদপুরের বাসমালিক-শ্রমিকেরা শুক্র ও শনিবার ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছেন। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা রুটের বাসকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় অতিক্রম করতে হয়। পরিবহন ধর্মঘট থাকায় ওই জেলার সড়কপথে বাস চলাচল করতে দেবেন না ফরিদপুরের পরিবহনমালিক-শ্রমিকেরা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা থেকে রাজধানীর যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঢাকার সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধের পূর্ব ঘোষণা না থাকায় বরিশাল অঞ্চলের যাত্রীরা মহাদুর্ভোগে পড়েছেন। ঢাকাগামী যাত্রীদের আজ সকালে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বিভাগের অন্যান্য জেলার সঙ্গে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে।
বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিএনএফ পরিবহনের চালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ফরিদপুরে ধর্মঘট থাকায় শুক্র ও শনিবার দুই দিন ঢাকার সঙ্গে বরিশালের সব অঞ্চলের বাস যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।