ফেসবুক-ইউটিউবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ফেসবুক-ইউটিউবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি নীতি ও জবাবদিহির আওতায় আনতে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সাংবাদিক ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেয়া হবে ।

আজ বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সাংবাদিকেরা ইউটিউব ও ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি নীতি ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন, আমি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এই দাবির সঙ্গে একমত এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তা পূরণ করার চেষ্টা করব।’

বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের যোগ্যতা ও গুণগত মান নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য আরেকটি প্রস্তাব আমি সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছি।’

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতির জন্য উদারপন্থা দেখিয়েছেন। সরকার গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। আপনারা (পেশাদার সাংবাদিক) গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনতে সাংবাদিকদের যোগ্যতা নির্ধারণে নীতিমালা চান। আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলে তা প্রণয়ন করবো।’

বিদ্যমান আইন উপেক্ষা করে সম্প্রচার বা ইন্টারনেট সেবা প্রদানের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গণমাধ্যমে হঠাৎ ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সাংবাদিকদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এটা সর্বজনীন মানবাধিকার সনদের লঙ্ঘণ। কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে স্বল্প নোটিসে সাংবাদিকদের বরখাস্ত করতে না পারে, সেজন্যে তিনি দাপ্তরিক নির্দেশনা জারি করবেন। কাউকে ছাঁটাই করার নোটিস কমপক্ষে তিন মাস আগে পরিবেশন করতে হবে।

একইভাবে, কোন সাংবাদিক যদি সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতে চান, তাদেরও একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে। যেমন দুই-তিন মাস আগে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের দাবি পূরণে তাদের সহযোগিতা চান ।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেসি চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক (রাজা), সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মানস ঘোষ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।

prothom alo