ফুটবলপ্রেমীতে মুখরিত কাতার

  • রফিকুল হায়দার ফরহাদ, কাতার থেকে
  •  ১৮ নভেম্বর ২০২২, ২২:১০
ফুটবলপ্রেমীতে মুখরিত কাতার – ছবি : সংগৃহীত

মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বরতরা। একের পর এক বিমান অবতরণ করছে দোহা এবং হামাদ বিমান বন্দরে। তবে বিশেষ ব্যবস্থা বিশ্বকাপে আসা যাত্রীদের জন্য। কাতারে আসা বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্টদের জন্য হায়া কার্ড ( হায়া মানে লেসট গো) চালু করেছে কাতার কর্তৃপক্ষ। তাই বিমান থেকে নামার পরপরই স্বেচ্চাসেবকরা ঘোষণা দিচ্ছেন ‘হায়া কার্ড ধারীরা এই দিকে। বাকিরা অন্য লাইনে।’

২০২০ বিশ্বকাপ-এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে কাতার- বাংলাদেশ ম্যাচ কভার করতে এসে দোহা বিমান বন্দরে বেশ সময় লেগেছিল ইমিগ্রেশন, করোনা টেস্ট, এহতেরাজ অ্যাপস ডাউনলোড করাসহ নানা ঝামেলা। এতে লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা কিন্তু এবার কোনো বিধিনিষেধ নেই। হায়া কার্ড থাকলেই মুহূর্তে ইমিগ্রেশনের ছাড়পত্র। বড় জোর কয়েক মিনিট। আসলে যে হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী কাতারে প্রবেশ করছেন, তাদের জন্য যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় হয়ে যায়, তাহলে সবই এলোমেলো হয়ে যাবে। তাই হায়াতেই পার।

এই ফুটবলপ্রেমীদের দ্বারা এখন মুখরিত পুরো কাতার। রাজধানী দোহাতে নানান দেশের ফুটবল সমর্থকদের উপস্থিতি। হোটেলে জায়গা নেই। ফ্যান ভিলেজও ঠাসা। সবই এই আগামীকাল থেকে মুসলিমবিশ্বে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে। এরা দল বেঁধে বিমানবন্দরে নেমেই শুরু করে দেয় ফুটবলীয় শ্লোগান।

ফুটবল দল, তাদের সমর্থক, সাথে সংশ্লিষ্ট দেশের মিডিয়া কমীদের ভীড় এখন কাতারে। তবে আসল ধাক্কাটা শুরু হবে আর্জেন্টিনা- ব্রাজিলের ম্যাচের সময়। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্স থেকে আসা তরুণ আইনজীবি ফার্নান্ডো জানান, ‘আর্জেন্টিনার প্রতি ম্যাচে ৪০ হাজার আর্জেন্টাইন তো উপস্থিত থাকবেনই স্টেডিয়ামে।’

বিশ্বকাপকে ঘিরে কিছু অসৎ মানুষের ধান্ধাও শুরু হয়ে গেছে। তবে কপাল পুড়েছে উবার চালকদের। বিশ্বকাপের দর্শকদের জন্য বাস এবং মেট্রো ফ্রি। ‘তাই ফুটবলভক্তরা এই ফ্রি সার্ভিসই নেবে। এতে উবারের চালকদের আয়টা একেবারেই কমে যাবে।’ জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উবারচালক।

শেষবারের মতো এবারের বিশ্বকাপে ৩২ দেশ অংশ নিচ্ছে। এই ৩২ দেশের জাতীয় দলের সাথে তাদের সমর্থকদের আগমন। এর বাইরে ফিফার দয়ায় টিকিট এবং মিডিয়া অ্যাক্রিডিটেশর পাওয়াদের উপস্থিতিও লাখ লাখ। এদের সামাল দিতেই নানা আয়োজন। এখন বিশ্বকাপটা সফলভাবে শেষ করতে পারলেই সমালোচকদের মুখে চুনকালি দিতে পারবে কাতার সরকার।