ইনডোরে পাঁচজনের যে ফুটবল, সেটিরই পোশাকি নাম ফুটসাল। ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়েই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফুটবলের ছোট এই সংস্করণ। ২০২১ সালে সর্বশেষ ফুটসাল বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ গড়ে ২৪ লাখ মানুষ দেখেছিলেন টেলিভিশন ও অন্যান্য মাধ্যমে। ফুটবলের সেই সংস্করণকে এবার নতুন মাত্রা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ফুটসালের জন্য প্রথমবার র্যাঙ্কিং চালু করেছে তারা। আর ফুটসালের প্রথম র্যাঙ্কিংয়ে পুরুষ ও নারী, দুই বিভাগেই শীর্ষে আছে ব্রাজিল।
ফুটসালের প্রথম র্যাঙ্কিংয়ে পুরুষ বিভাগের হিসাবটা করা হয়েছে ৪৬০০টি ফিফা ‘এ’ ম্যাচের ফলের ভিত্তিতে। ফিফার সদস্য দেশগুলোর মূল জাতীয় দল মুখোমুখি হলেই আন্তর্জাতিক ‘এ’ ম্যাচের মর্যাদা পায়। ফুটসালের নতুন র্যাঙ্কিং পরের বিশ্বকাপের বাছাই দল নির্বাচনেও ব্যবহৃত হবে।
‘আসল’ ফুটবলে ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরেই প্রথমবার র্যাঙ্কিং প্রবর্তন করে ফিফা। মেয়েদের র্যাঙ্কিংটা চালু হয় ২০০৩ সালে। এবার এল ফুটসালের র্যাঙ্কিং। সেই র্যাঙ্কিংয়ে ছেলেদের বিভাগে প্রথম ১ নম্বর দল ব্রাজিল। বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো বিশ্বকাপ ফুটসালও পাঁচবার জিতেছে ব্রাজিলিয়ানরা।
র্যাঙ্কিংয়ে ব্রাজিলের পরেই আছে আরেক পর্তুগিজভাষী দেশ পর্তুগাল। স্পেন তিনে, এশিয়ার দেশ ইরান চারে ও আর্জেন্টিনা আছে পাঁচে। ফুটসালের প্রথম ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আছে ১৩৯টি দল। এই ১৩৯ দেশের মধ্যে নেই বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত আছে ১৩৫ নম্বরে। দক্ষিণ এশিয়ার আরও দুটি দেশ আছে র্যাঙ্কিংয়ে—মালদ্বীপ ১১০ নম্বরে ও নেপাল ১২১ নম্বরে।
মেয়েদের বিভাগে অবশ্য আছে বাংলাদেশের নাম। আর সেটিও আছে শীর্ষ পঞ্চাশের মধ্যেই। বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটসাল দল প্রথম র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেয়েছে ৪৪ নম্বরে। মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ে মোট দল ৬৯টি। এদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দল নেই।
এই ৬৯ দলের মধ্যে সবার ওপরে ব্রাজিল। ব্রাজিলের পরেই দুইয়ে স্পেন। পর্তুগাল, আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া আছে তিন, চার ও পাঁচে।
prothom alo