পাহাড়ে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন গুলোর চাঁদাবাজির একটা ভয়ংকর তথ্য দেই।
শান্তিচুক্তি হয়েছে আজ প্রায় দুই যুগ হয়ে গেলো কিন্ত বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি আর নির্যাতন। বর্তমানে সক্রিয় চারটি সশস্ত্র সংগঠন বছরে ৪০০ কোটির বেশি টাকা চাঁদা আদায় করছে। ২০১৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ৩৭৬ টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শুধুমাত্র ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ১১৫ টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এসব সশস্ত্র ভয়ংকর গ্রুপ গুলো। অপহরণ করেছে ৫৩৮ জনকে।
অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডই হয়েছে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে।
২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালের হিসেব মতে ১০৫ জন চাঁদাবাজকে আটক করেছে এবং চাঁদাবাজির ৪০ লক্ষাধিক টাকা এবং আড়াই লাখ ভারতীয় রুপি জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। চাঁদবাজি এমন পর্যায়ে যে, স্থানীয় উপজাতি ও বাঙ্গালী নির্বিশেষে কেউ কোন কলারছড়ি বিক্রি করলেও চাঁদা দিতে হয়। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় ইদানীং তারা চাঁদা আদায়ে ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে সরাসরি না এসে তারা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে চাঁদার টাকা আদায় করছে। পুলিশ ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে এবং নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করে এদের বিরোধী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি কথিত সুশীল সমাজের লোকজন পাহাড়ে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে ভিন্ন স্রোতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলেও এসব সশস্ত্র গ্রুপ গুলোর কর্মকাণ্ডই প্রমান করে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর গুরুত্ব কতটুকু।
উল্লেখ্য, পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের নিরাপত্তা, দেশের অখণ্ড রক্ষা এবং বিশেষ করে উপজাতি মানুষদের শিক্ষা, চিকিৎসা সহ জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আনসার, বিজিবি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
ছবিঃ- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কয়েকজন দুর্ধর্ষ প্যারা-কমান্ডো সদস্য।