পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আ.লীগ সভাপতির গুলি
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাস তাঁর ব্যক্তিগত শটগান থেকে সাতটি গুলি ছোড়েন। চন্দন স্থানীয় সাংসদ মানু মজুমদারের শ্যালক।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কৈলাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক বলেছেন, বৃহস্পতিবার গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রত্যেকের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা নেওয়া হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক তালুকদার, অন্যজন আনারস প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল হক। আবদুল খালেক বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আর ফজলুল হক কলমাকান্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা।স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটার দিকে কৈলাটি বাজারে নৌকার বেশ কয়েকজন সমর্থক আনারসের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই কার্যালয়ে থাকা লোকজন নৌকার সমর্থকদের নিয়ে মন্তব্য করেন। এতে নৌকার সমর্থক ও আনারসের সমর্থকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এতে আনারসের সমর্থক আবুল কালাম আজাদ, মো. আলামিনসহ উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সূত্রগুলো জানায়, দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনারসের সমর্থক চন্দন বিশ্বাস প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে পাগলা বাজারে আনারসের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তিনি মুঠোফোনে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কৈলাটি বাজারে পৌঁছে তাঁর ব্যক্তিগত শটগান দিয়ে সাতটি গুলি ছোড়েন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
চন্দন বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও আত্মরক্ষার্থে ছয় থেকে সাতটি গুলি ছুড়েছেন।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করীম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চন্দন বিশ্বাসের শটগানটি জমা নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রত্যেকের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা নেওয়া হবে।’