নির্বাচন ব্যতীত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার সকালে খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বার্নড স্পানিয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশের পট পরিবর্তনের পর আগামী দিনের বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে? গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সবকিছু মিলিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে সমর্থন দিতে পারে তাদের পক্ষ থেকে, দেশটা যে গর্তের মধ্যে পড়েছে সেখান থেকে বের করার জন্য কোথায় কোথায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সমর্থন দিলে ভালো হয় এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গুড গর্ভনেন্সের জন্য সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলো যে সব ধ্বংস হয়ে গেছে, এগুলোর প্রতিকার কী এবং কীভাবে এগুলোকে আবারও সঠিক জায়গায় নিয়ে আসা যায় সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের কী সহযোগিতা থাকতে পারে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে করে আমাদের বড় একটি অংশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি করে সেগুলো কীভাবে অব্যাহত রাখা যায় এবং সে ক্ষেত্রে তাদের কী করা উচিত তা নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে আমাদের একটা ফ্রেমওয়ার্ক আছে, সেই আর্থিক বিষয় কীভাবে রিফর্ম করা যায়; যাতে করে তাড়াতাড়ি আমরা অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি। মূলত এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাতে আগামী দিনে আমরা কীভাবে গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসতে পারি।
আমির খসরু বলেন, নির্বাচন ব্যতীত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। স্বাভাবিকভাবেই সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থ অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত চান কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত তো অবশ্যই চাই। শুধুমাত্র স্পেসিফিক এই বিষয়ে নয়, এতগুলো টাকা যে বিদেশে পাচার হয়েছে, ১০০ বিলিয়নের উপরে বিভিন্ন সোর্স থেকে যা বলা হচ্ছে এই টাকাগুলো বাংলাদেশের ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সাজেস্ট করেছি সবাই মিলে এই বিষয়ের উপর কাজ করতে হবে।
এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ।
samakal