স্টাফ রিপোর্টার
(৩৯ মিনিট আগে) ৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১:৪৩ অপরাহ্ন
সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেয়ার ষড়যন্ত্রে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) উদ্যোগে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সামনের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এটাই দেশের জনগণের প্রত্যাশা। জনগণ ভোট দিতে প্রস্তুত, তাই নতুন কোনো ইস্যু তৈরি করে জনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা যারা করছেন, তারাও জনগণের কাছে ধরা পড়ে যাবেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা ভোটে তালা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছেন। গরু-বাছুরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে। কিন্তু ভোটারদের যাওয়ার সুযোগ দেননি। দিনের ভোট রাতে হয়েছে, র্যাব, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ দিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়া ঠেকানো হয়েছে।’
আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অভিযোগ এনে রিজভী বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদীরা নানা চক্রান্ত করছে। ষড়যন্ত্র থেমে নেই বরং তা বাস্তবায়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যান চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সব অন্ধকার দূর করে জাতীয়তাবাদের পতাকা উঁচু রাখবে-এটাই বারবার প্রমাণিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন কমিশন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নিশ্চিত করবে জনগণের ভোটাধিকার। এই সরকার নিরপেক্ষ থাকবে, কোনো পক্ষ নেবে না। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে একটি বিশেষ ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের সমর্থক আমলাদের বসানো হয়েছে-এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বড় বাধা। আমরা প্রত্যক্ষ করছি, জনগণও বুঝতে পারছে। ড. ইউনূসের প্রতি আস্থা রেখে বলবো, এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিন যারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন।’
ভারতে ড. ইউনূসের মুখাবয়ব দিয়ে তৈরি ‘অসুরের’ মূর্তির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এটি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচয় ও অপসংস্কৃতির প্রকাশ। ভারত সংগীত-শিল্প-সংস্কৃতির দেশ, এমন কাজ তারা করবে-এটা আমরা কল্পনাও করিনি ‘
তিনি বলেন, ‘মোদি (নরেন্দ্র মোদি) সাহেব যদি ভারতে মধ্যযুগীয় অন্ধকার নামিয়ে আনেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ সেটি গ্রহণ করবো না। আমাদের দেশে বিভাজন তৈরি করা যাবে না। তারেক রহমান সুস্পষ্টভাবে বলেছেন-আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকবো।’