১৬ এপ্রিল ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘তথ্য-প্রমাণ ছাড়া নিজেদের দোষ ঢাকতে নাশকতার কথা বলা হচ্ছে। এটা বলে জনগণের সঙ্গে মশকরা করা হচ্ছে।’
রোববার (১৬ই এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও দোকান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বিপণি বিতানগুলোতে একের পর পর এক আগুনের ঘটনাগুলো বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যের জেরেই আজ রোববার এমন বক্তব্য দিলেন জিএম কাদের।
আওয়ামী লীগের অপকর্মের দোসর জি এম কাদের বলেন, ‘নাশকতা হলে দেখার দায়িত্ব সরকারের। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। সরকারের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে, তাঁরা মানুষকে দোষারোপ করছেন। অথচ নিজদের দোষ দেখেন, আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। তা না করে দোষ ঢাকতে তারা এটা করছে। আমরা খুবই মর্মাহত, এটা বলে জনগণের সঙ্গে মশকরা করা হচ্ছে। জনগণের কষ্টের খবর নেই। আর তারা রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছে। কথা বললে দায়িত্ব নিয়ে, তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কথা বলতে হবে। সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে কথা বলতে হবে।’
জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের গৃহপালিত দল হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে গরিব মানুষের কষ্টার্জিত টাকায় লালনপালন করা হয়, যারা গাড়ি-বাড়িতে বিলাসী জীবন যাপন করছে। অথচ তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখছি না। তারা নিজেদের রক্ষায় কাজ করছে। নিজেরা নিজদের সুরক্ষিত করছে, নিজেদের উন্নতি করছে।’
অনেকগুলো মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা এখন জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছেন না। সবারই একটি দায়িত্ব থাকে, সেটা সরকারি কিংবা জনপ্রতিনিধি হোক। এসব কাজে তারা ব্যর্থ হচ্ছেন এতে সন্দেহ নেই। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরেও চালু রাখা হচ্ছে। সবই অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা, নিয়মকানুন কেউ মানছেন না। সবাই পার পেয়ে যাচ্ছেন, যার কারণে সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। এর সব দায় সব সরকারের।’
শনিবার ভোরে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে। ভয়াবহ আগুনে মার্কেটের তৃতীয় তলার কমপক্ষে ২৫০টি দোকান পুড়ে গেছে। মার্কেটটি আগে থেকেই ফায়ার সার্ভিসের তালিকায় অগ্নিকাণ্ডের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।