দুই যুগ পর চেমসফোর্ডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ০৯ মে ২০২৩, ১৩:০০, আপডেট: ০৯ মে ২০২৩, ১৫:৩৭
১৯৯৯ সালে চেমসফোর্ডে বাংলাদেশ – ছবি – ইন্টারনেট

বাংলাদেশ দুই যুগ পর চেমসফোর্ডে খেলতে যাচ্ছে। আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এসেক্সের এই মাঠে খেলতে নামবে টাইগাররা। যদিও মাঝে একবার একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ এই মাঠে, তবে কোনো অফিশিয়াল ম্যাচ খেলেনি এই শতকে। তাই খেলতে নামা মাত্রই টাইগারদের ২৪ বছরের অপেক্ষা ফুরাবে।

চেমসফোর্ডের সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম পরিচয় ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ আর সেইবার টাইগারদের প্রথম ম্যাচ ছিল এই চেমসফোর্ডে। যদিও ১১৬ রানে অলআউট হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা হেরে যায় ৬ উইকেটে।

সেই দলের কেউ এখন আর না থাকলেও সাথে আছেন। তিনি প্রধান কোচ মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। যদিও একাদশে ছিলেন না এই ব্যাটার, তবে দলের সাথে ছিলেন তিনি। যদিও সেই দল আর এই বাংলাদেশ দলের মাঝে পার্থক্য বিস্তর। এখন আর টাইগাররা খেলার জন্য খেলে না, লক্ষ্যটা থাকে জয়ের।

ইংল্যান্ডের এই ভেন্যু আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বাদ পায়নি খুব একটা। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ ম্যাচ খেলা হয়েছে সেখানে। ১টি করে জয় আছে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের। ভেন্যুর সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২৪৭ আর সর্বনিম্ন ১১৬ রান; যা বাংলাদেশের দখলে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ইংল্যান্ডের মাঠ হলেও এই গ্রাউন্ড খুব একটা রান দিবে না।

চেমসফোর্ডে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ১২ হাজার। স্বল্প ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়াম পূর্ণ করে দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশী সমর্থকরা। বেশ কয়েকদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে ম্যাচগুলোর টিকিট। যার অধিকাংশই বাংলাদেশীদের দখলে। বিষয়টা জানেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়কও। ম্যাচ পূর্বক সংবাদ সম্মেলনেও এই নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

আইরিশ অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘বিশ্বের যেই প্রান্তেই খেলা হোক, সেখানে বাংলাদেশের সমর্থক সংখ্যা বেশি থাকবেই। এমনকি ডাবলিনেও যদি খেলা হতো, সেখানেও বাংলাদেশের একটা বিশাল সমর্থকগোষ্ঠী দেখা যেত। তবে আমরা দর্শকের সামনে খেলতে চাই, নিজেদের দক্ষতা সবার সামনে দেখাতে চাই।’

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে আজ আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটে লড়াইয়ে নামবে দুই দল।