- ২৪ ডেস্ক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত দেশের গণতন্ত্রকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি রাষ্ট্র ও রাজনীতি পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ নিতে ওত পেতে বসে আছে। সরকারের যেকোনো ভুল সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

বুধবার (৩০ জুলাই) আশুলিয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত ‘নারকীয় আশুলিয়া’ স্মরণসভায় ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও চরমপন্থা যেন মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে সরকারকে।
তিনি বলেন, একজন নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করি, রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রয়োগের প্রধান উপায় হলো নির্বাচন। প্রত্যেক নাগরিক যেন নিজে তার মত প্রকাশ করতে পারে—এমন একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতেই বিএনপি সব সময় নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।
তারেক রহমান বলেন, ভোটের মাধ্যমে জনগণের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে রাষ্ট্রে জনগণের ইচ্ছাই প্রাধান্য পাবে, এবং তা নিশ্চিত করবে স্থিতিশীলতা। জনগণই রাষ্ট্র ও রাজনীতির মূল ভিত্তি—তাদের বাদ দিয়ে কোনো সংস্কার বা অগ্রগতি টেকসই হতে পারে না।
তিনি বলেন, জনগণ এক যুগের বেশি সময় ধরে কিছু মানুষের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করেনি, কিংবা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হননি। তারা লড়েছেন নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, স্বৈরাচারী শক্তিকে হটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য।
তারেক রহমান আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এখন রাষ্ট্র পরিচালনার ভারে আছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই সরকারে অন্তর্ভুক্ত একটি অংশ বিভিন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করছে, যা জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ধরনের কৌশল আত্মত্যাগের আদর্শকে অবমাননা করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বশীলতা ও বিচক্ষণতার অভাব দেখাচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
শেষে তারেক রহমান ঘোষণা দেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শহীদ শ্রমজীবী মানুষের স্মরণে বিশেষ স্থাপনা নির্মাণ করবে। এটি হবে তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গণতন্ত্রের অনুপ্রেরণা।