- ২৪ ডেস্ক
রাজধানীর আদাবরে এক প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় জড়িত ‘কব্জি কাটা’ নামে এক দুর্ধর্ষ গ্রুপের মূলহোতা জনি ও রনিসহ চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের কাছ থেকে হামলায় ব্যবহৃত ধারালো চাপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রাকিব খাঁন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া রনি ও জনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার ভয়ংকর কিশোর গ্যাং ‘কব্জি কাটা’ গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। গ্রুপের মূলহোতা আনোয়ার কারাগারে থাকায় এই দুই ভাই সেটির নেতৃত্ব দিচ্ছিল। পুলিশের ওপর হামলায় তাদের নেতৃত্বে ওসমান, দাঁতভাঙা সুজন, নাজির, কব্জি কাটা হৃদয় ও গাঁজা ব্যবসায়ী রাজুসহ অনেকেই সরাসরি জড়িত ছিল।
এই গ্রুপটি মানুষের হাতের কব্জি কেটে টিকটক ভিডিও বানিয়ে উল্লাস করত বলে অভিযোগ রয়েছে। আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তারা জড়িত। অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, জবরদখল ও ভাড়ায় শক্তি প্রদর্শনের মতো অপকর্মে চিহ্নিত এই গ্যাংয়ের সদস্যদের অত্যাচারে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত সোমবার রাতে। আদাবর থানার শ্যামলী হাউজিং এলাকায় এক প্রেমিক যুগলকে অপহরণ করে মারধর ও মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগীর পরিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ জানালে পুলিশ তাদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কুপিয়ে আহত করে। তারা পুলিশের টহল গাড়িও ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার মূলহোতা মো. রনি (২৭) ও তার ভাই মো. জনি (২৪) ছাড়াও চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন মো. ওসমান (২০), মো. নাজির (২০), মো. রাজু (২৭), মো. শাকিল (১৯), মো. আবুল কামাল আজাদ (১৯), মো. রেজু খান আলম (২২) ও মো. আলামিন (১৮)।