স্বাধীনতার পর কেন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল প্রকাশ করতে হবে: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

 আমার দেশ
২৩ জানুয়ারী ২০২৩

প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল

প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিনিধি

বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কেন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল? কেন প্রায় ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ নেওয়া হয়েছিল? কেন সেদিন আওয়ামী লীগ থেকে জাসদ তৈরি হলো? আওয়ামী লীগ এগুলোর উত্তর দেয় না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে কী হয়েছিল তা জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।

সোমবার (২৩শে জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ‘বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা ও তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল কথা ছিল বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক দেশ হবে, সাম্য, ন্যায় বিচার, মানবিক মর্যাদা নিয়ে এ দেশ পরিচালিত হবে। সেটাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমাকে একই কথা বলতে হচ্ছে, বুকের রক্ত দিতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে গণতন্ত্র; আমার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমি স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই, আমার ভোট আমি দিতে চাই।

আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করেছে। এখন যে পার্লামেন্ট তারা তৈরি করেছে সেটা ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, মানুষ এখন ভোট দিতে যায় না।

ফখরুল বলেন, আমরা একটি অসম লড়াইয়ের মধ্যে আছি। আমাদের প্রতিপক্ষ প্রবল প্রতাপশালী, তাদের হাতে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, পিস্তল, গ্রেনেড—অবলীলায় তারা সেগুলো মারে এবং আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে, মানুষকে বাঁচাতে হবে, আমাদের রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখতে হবে।