রঙিন পোশাকে মন খারাপের গল্প কম লেখেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। খুব কাছে গিয়েও বার বার হতে হয়েছে হতাশ, হাত ফসকে গেছে শিরোপা। তবে এবার সুযোগ এসেছে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর, সুযোগ এনে দিয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।
বুধবার লর্ডসের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটার সামনে।
ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অসংখ্য শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ গড়িয়েছে লর্ডসে। তবে লন্ডনের এ মাঠে প্রথমবারের মতো গড়াচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় শুরু হবে খেলা।
ক্রিকেটের বৈশ্বিক সব আসরের নকআউট ম্যাচ মানেই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার হৃদয় বিদারক সব হার। রঙিন পোশাকে তাদের মলিন হয়ে মাঠ ছাড়ার ট্র্যাজেডি নাড়া দেয় সবাইকে। গত ২৭ বছর যাবত এভাবেই চলে আসছে।
তবে এবার রঙিন পোশাকের অপূর্ণতা সাদা পোশাকে দূর করতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই লক্ষ্যেই উঠে এসেছে ফাইনালে। যদিও তা খুব একটা সহজ হবে না, স্বপ্ন জয়ে বড় বাঁধার নাম অস্ট্রেলিয়া। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা।
যদিও এবারের চক্রে সবার শীর্ষে থেকে ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৩-২০২৫ চক্রে ১২ ম্যাচে ৬৯.৪৪ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট প্রোটিয়াদের। আর ১৯ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পার্সেন্টেজ পয়েন্ট ৬৭.৫৪।
এর আগে, প্রথম আসরে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নিউজিল্যান্ড। আর ২০২৩ সালের ফাইনালে লন্ডনের ওভালে সেই রোহিত শার্মার দলকেই ২০৯ রানে উড়িয়ে শিরোপা দখলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
পরিসংখ্যান বলছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ক্রিকেটে মোট ১০১টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ৫৪টি টেস্টে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেয়েছে ২৬টি ম্যাচে। বাকি ২১টি টেস্ট ড্র হয়।
ড্রয়ের সম্ভাবনা আছে ফাইনালেও। জয় পেলে তো হলোই, অন্যথায় ৫ দিনের লড়াই শেষে শিরোপা যদি শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিত থেকে যায়, তাহলে দুই দলকেই যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।
তবে তা যদি বৃষ্টি বা আবহাওয়ার কারণে হয়ে থাকে, তবে তাদের পাড়ি দিতে হবে রিজার্ভ ডেও। অর্থাৎ আজ ১১ তারিখে খেলা মাঠে গড়ানোর পর ষষ্ঠ দিন–১৬ জুন রিজার্ভ ডে হিসেবে রাখা হয়েছে।