আমার দেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্যকে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
বুধবার (২৫শে জানুয়ারী) দুপুরে এফডিসি সংলগ্ন এলডিপির কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি, পাঠ্যপুস্তকে জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিরোধী পাঠ যুক্ত করার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, একটা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে যে ধরনের খেলা চলছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের জন্য যারা খেলায় মেতেছে জাতি তাদের ক্ষমা করবে না। শুধু তদন্ত করে লাভ নেই। এসব পাপীদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।
কর্নেল অলি বলেছেন, পরিণত বয়সে মেজর রফিক এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ১৯৮০ সালের আগে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি বই লিখেছেন। সে বইতে এসব তথ্য নেই কেন? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেন তাকে চাকরীচ্যুত করেছিলেন? চাকরীচ্যুত হওয়ার পর ১৯৭৭-৭৮ সালে তিনি প্রায় অসহায়ের মতো জীবনযাপন করছিলেন। ঢাকায় আসার মতো টাকা তার কাছে ছিল না। ওই সময় আমি তাকে চট্টগ্রামের কমিশনার আউয়ালের মাধ্যমে বিমানের টিকিট কেটে ঢাকায় আনি। এরপর জিয়াউর রহমানকে অনুরোধ করে তাকে ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান বানাই। মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম ওই ধরনের ব্যক্তি, যে স্বার্থের জন্য যে প্লেটে খায় সে প্লেটে ছিদ্র করে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে আমরা তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করি। রফিকুল ইসলামকে তখন চট্টগ্রামে পাওয়া যায়নি। পরে জেনেছি তিনি চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে সীমান্তবর্তী খাগড়াছড়ির রামগড় পোস্ট অফিসের দুই তলায় অবস্থান নেন। আমরা যুদ্ধ করেছি চট্টগ্রাম শহরে। তিনি রামগড় পালিয়ে গেলেন কেন?
এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭ লাখ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা দেশ থেকে টাকা নিয়ে পালাচ্ছে।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, ঋণ খেলাপির লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ভ্যাট পরিশোধ করছে না। এ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এসএম মোরশেদ, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম প্রমুখ।
এদিকে, আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন, নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ও বিরোধী দলের গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে এলডিপি।