পুলিশ সুপার জানান, গত রোববার ফয়সাল ইমামকে বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজুল্যাপুর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন। তিনি উসকানিমূলক নানা পোস্ট দেন। এরই ধারাবাহিকতায় চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্যতম উসকানিদাতা ও ইন্ধনদাতা হিসেবে তাঁকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফয়সালকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের নাম জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর সোমবার রাতে তাঁকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।