ভারতের অবস্থানের ব্যাপারে কোনো বক্তব্য না দিয়ে বিএনপি চীনের সমালোচনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। তিনি দাবি করেন, বিএনপির বর্তমান অবস্থানের বিষয়ে চীনের চেয়ে ভারত কড়া অবস্থান প্রকাশ করেছে। এর পরও দলটি ভারতের সমালোচনা নয়, করছে চীনের।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ৯ নভেম্বর চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শাসনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। একই দিন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশকে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারত তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে। ভারতের প্রতি বিএনপির বিরোধিতা দেশের মানুষ জানে। চীনের রাষ্ট্রদূতের তুলনায় ভারতের মুখপাত্রের বক্তব্যে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থানকে বেশি কটাক্ষ করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি ভারতীয় মুখপাত্রের বক্তব্যের কোনো জবাব না দিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের অযৌক্তিকভাবে সমালোচনা করেছে।
দিলীপ বড়ুয়া আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত বন্ধু চীন। এই সম্পর্ক অবমূল্যায়ন করে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের দুশমন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে খুশি করতে ব্যস্ত বিএনপি। তাদের খুশি করতে বিএনপি এর আগে এশিয়া প্যাসিফিক জোটের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে সেমিনার করেছে। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক ও দক্ষিণপন্থী দলগুলোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পশ্চিমাদের সঙ্গে আঁতাত করে তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজনীতিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি করছে।
গণতন্ত্রের অজুহাতে জনগণকে আবারও প্রতারিত করে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর বলে মন্তব্য করেন দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যাতে বিরাগভাজন না হয়, সে জন্য ফিলিস্তিনের নারী-শিশুকে ইসরায়েলের হত্যার বিষয়ে বিএনপির বক্তব্য নেই। আমেরিকার প্রতি এত নতজানু হয়েও ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন বিএনপির বাস্তবায়িত হবে না।
প্রথম আলো