বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গ্রামে বিদ্যুৎ শুধু যায়, আসে না। কখন আসে, তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই। ‘ডামি’ সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। পানির দাম বেড়েছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সব জিনিসের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বুধবার নয়াপল্টনে দলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির প্রমুখ।
এর আগে গত সোমবার ঈদুল আজহার নামাজ শেষে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, রুহুল কবির রিজভীসহ শীর্ষ নেতারা।
এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, ১৫ বছর ধরে জনগণের মধ্যে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। ঈদ উপভোগ করার বিষয়, সেই মনমানসিকতা এখন দেশের মানুষের মধ্যে নেই। যদি নির্বাচিত সরকার থাকত, তাহলে জনগণের এই কষ্ট হতো না। অক্টোপাসের শুঁড় দিয়ে বন্দি করার মতো আজকে দেশের মানুষকে চারদিক থেকে আটকে ফেলা হয়েছে। কী রাজনৈতিক, কী অর্থনৈতিক, কী সামাজিক, কী ভৌগোলিক– কোনো দিক থেকেই আমরা ভালো অবস্থানে নেই, শান্তিতে নেই।
পরদিন মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে সামরিক ও বেসামরিক পণ্য পরিবহনের জন্য রেললাইন নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড। এতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব দেশের ‘ইন্টেলিজেন্স’ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। ভারতকে এভাবে সব উজাড় করে দেওয়ার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সরকার জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বেচতে শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
samakal