গভর্নর হিসেবে আব্দুর রউফ তালুকদার ‘‌ডি’ গ্রেড পেয়েছেন

 

ভারতের গভর্নর এ প্লাস, শ্রীলংকার গভর্নর এ মাইনাস

Bonikbarta.net  নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র‍্যাংকিংয়ে গভর্নর হিসেবে  ‘‌D’ (ডি) গ্রেড পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সবক’টি সূচকে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে প্রতিবেশী ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ পেয়েছেন A+ (এ প্লাস) গ্রেড। A- (এ মাইনাস) গ্রেড পেয়েছেন শ্রীলংকাকে দেউলিয়াত্ব ও ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে।

এতে দেখা যায়, এশিয়ায় গভর্নরদের মধ্যে সেরাদের সেরা বা ‘‌এ প্লাস’ গ্রেড পাওয়া দুই গভর্নর হলেন প্রতিবেশী দেশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নগুয়েন থি হং। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে ‘এ মাইনাস’ গ্রেড পেয়েছেন। আর নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মহাপ্রসাদ অধিকারী পেয়েছেন ‘বি মাইনাস’ গ্রেড। মূল্যস্ফীতিসহ ভয়াবহ সংকটে থাকা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমদ পেয়েছেন ‘সি মাইনাস’।

গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের বিশ্লেষণে গভর্নরদের মূল্যায়নের মাপকাঠি হিসেবে মোটাদাগে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের সুরক্ষা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত করার মতো বিষয়গুলোর কথা উঠে এসেছে। গত এক বছরে এসব সূচকে অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের।

তবে অর্থনৈতিক কাঠামোর দুর্বলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের নিয়ন্ত্রণকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছে গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, কভিড-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আবার মূল্যস্ফীতির হার বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ শতাংশের লক্ষ্যকে ছাড়ালেও এ অতিরিক্ত হার সীমিত ছিল দশমিক ৬ শতাংশীয় পয়েন্টে। স্থিতিশীল ছিল টাকার বিনিময় হারও। কিন্তু ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে টাকার অবমূল্যায়ন হয় সাড়ে ৯ শতাংশ। ডলার সংকটে হিমশিম খেতে থাকেন পণ্য আমদানিকারকরা। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য ব্যাপক মাত্রায় বাড়তে থাকে। মূল্যস্ফীতিও হয়ে ওঠে লাগামহীন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কমতে থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের কারণে মূল্যস্ফীতির মতো বাহ্যিক ধাক্কার মুখে নাজুক অবস্থানে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সেথাপুত সুথিওয়ার্তনারুয়েপুত পেয়েছেন ‘বি প্লাস’। ব্যাংক অব ইন্দোনেশিয়ার গভর্নর পেরি ওয়ারজিও পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’। দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রি চ্যাং-ইয়ংকে ‘এ মাইনাস’, সিঙ্গাপুরের রবি মেননকে ‘বি মাইনাস’ এবং তাইওয়ানের ইয়াং চিন-লংকে ‘এ’ গ্রেড দেয়া হয়েছে। এ মহাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কর্মদক্ষতার মূল্যায়ন এবারের প্রতিবেদনে করা হয়নি। এসব দেশের গভর্নর নতুন করে যোগদান করায় তাদের গ্রেডিং করা থেকে বিরত থেকেছে ম্যাগাজিনটি।

গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের বিগত বছরগুলোয় প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১ মে থেকে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন ড. আতিউর রহমান। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এ তিন বছর গভর্নর হিসেবে আতিউর রহমানের গ্রেড ছিল ‘সি’। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো তিনি ‘বি মাইনাস’ গ্রেডে উন্নীত হন। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ পদত্যাগ করায় ওই বছর তার কার্যক্রমের মূল্যায়ন করা হয়নি।

আতিউর রহমানের পদত্যাগের পর ২০১৬ সালের ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেন ফজলে কবির। ২০২২ সালের ৩ জুলাই পর্যন্ত তিনি গভর্নর পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তাকে বিভিন্ন গ্রেড দিয়েছে গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। ২০১৭ সালে ফজল কবিরের গ্রেড ছিল ‘বি’। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তাকে ‘ডি’ গ্রেড ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়া হয়। তবে ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য ফজলে কবিরকে ‘সি’ গ্রেড দিয়েছিল সাময়িকীটি।

ফজলে কবির অবসরে গেলে তৎকালীন অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বাদশ গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০২২ সালের ১২ জুলাই গভর্নর হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন। এ কারণে ২০২২ সালের ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ডে’ তাকে নিয়ে কোনো মূল্যায়ন আসেনি। ম্যাগাজিনটির চলতি বছরের রিপোর্ট কার্ডেই প্রথমবারের মতো তাকে নিয়ে কোনো মূল্যায়ন প্রকাশ হলো।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হকের সঙ্গে নানা মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। তবে আমি মনে করি, অর্থনীতিতে যেসব সংকট চলছে, সেগুলোর সমাধান আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও সমাধানের পথ সম্পর্কে হয়তো অবগত। সম্ভবত সরকারের প্রতিবন্ধকতার কারণে সমস্যাগুলোর সমাধান হচ্ছে না।’

দুই বছর ধরেই দেশের মূল্যস্ফীতির হার ক্রমাগত বাড়ছে। গত বছরের জুলাইয়ে দেশের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ক্রমাগত বেড়ে চলতি বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করলেও বৈশ্বিক প্রতিকূলতার মধ্যেই এ বিষয়ে ক্রমাগত সফলতা দেখিয়ে চলেছে প্রতিবেশী ভারত। গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র‍্যাংকিংয়ে প্রতিবেশী ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার প্রধান শক্তিকান্ত দাশকে গভর্নর হিসেবে A+ গ্রেড দেয়া হয়েছে। কভিডের ধাক্কা কাটিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে (এপ্রিল-মার্চ) ভারতের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৯ দশমিক ১ শতাংশে, যা ছিল সর্বকালের সর্বোচ্চের কাছাকাছি। প্রবৃদ্ধির এ ধারা বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির বৃহৎ মূল্যায়ন সূচক মূল্যস্ফীতির হারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। চলতি পঞ্জিকাবর্ষের জানুয়ারিতে দেশটিতে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) ছিল সাড়ে ৬ শতাংশ। মে মাসের মধ্যেই তা ৪ দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ভারত। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আরবিআই এ সময়ের মধ্যে শুধু রেপো রেটই বাড়িয়েছে ৬ দফায়। আরবিআইয়ের এ পারফরম্যান্সের জন্য বড় কৃতিত্বের দাবিদার ধরা হচ্ছে শক্তিকান্ত দাশকে। জুলাইয়ে সিপিআই ৭ দশমিক ৪ শতাংশে উঠলেও এজন্য মূলত ভারী বর্ষণে উৎপাদন কমে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শক্তিকান্ত দাশের নেতৃত্বাধীন আরবিআই ঘোষণা দিয়েছে, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ওপরে উঠলেই এটিকে সহনীয় মাত্রার বেশি বলে ধরে নেয়া হবে। ২০২৩ সালে ভারতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই। তবে তা এ লক্ষ্যসীমার মাঝামাঝি অর্থাৎ ৪ শতাংশের কাছাকাছি বেঁধে ফেলার দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আর্থিক ও মুদ্রাবাজারের অভিভাবক প্রতিষ্ঠানটি।

দেউলিয়াত্ব ও ইতিহাসের নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলংকা। সর্বশেষ গত মাসেও দেশটি মূল্যস্ফীতির হার নামিয়ে এনেছে ২ দশমিক ১ শতাংশে। মূল্যস্ফীতির বড় অনুঘটক খাদ্যপণ্যের দামও এখন কমছে দেশটিতে। শ্রীলংকার এ ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে বড় কৃতিত্ব দেয়া হয় সেন্ট্রাল ব্যাংক অব শ্রীলংকার (সিবিএসএল) গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহেকে। যদিও গত বছর দায়িত্ব নেয়ার পর বড় একটি সময় তাকে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দুর্যোগজনিত পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে। গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র‍্যাংকিংয়ে গভর্নর হিসেবে তাকে দেয়া হয়েছে এ মাইনাস।

এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমটির ভাষ্য হলো, রাজাপাকসে পরিবারের বিরাগভাজন হয়ে ২০২০ সালে শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছেড়েছিলেন নন্দলাল বীরাসিংহে। দেশটির দুর্যোগের মুহূর্তে ২০২২ সালের এপ্রিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ফিরে আসেন তিনি। পদোন্নতি পান গভর্নর হিসেবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিতে থাকেন তিনি। দুই মাসের মধ্যেই তিনি শ্রীলংকার সুদহার বাড়ান ৭০০ বেসিস পয়েন্ট। অর্থনীতির ক্ষত পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখে গত মার্চে আইএমএফের ছাড় করা ৩০০ কোটি ডলারের বেইলআউট। গত মে মাসেও দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ২৫ শতাংশ। দুই মাসের মধ্যে জুলাইয়ে তা ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে সমর্থ হয় শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও এখন বেশ নাজুক। গত বছরের জুন শেষে দেশের রিজার্ভ ছিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবায়ন পদ্ধতিতে) ৪ হাজার ১৮২ কোটি বা ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবায়ন পদ্ধতিতে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ নেমেছে ২৭ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। তবে আইএমএফের শর্তের ভিত্তিতে এখন রিজার্ভের পরিসংখ্যান প্রকাশে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডও (বিপিএম৬) অনুসরণ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের হিসাব অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ এখন মাত্র ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। তবে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নিট রিজার্ভ এর চেয়েও অন্তত ২ বিলিয়ন ডলার কম।

২০২২ সালের ৩০ জুন আন্তঃব্যাংক লেনদেনে দেশে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। আর গতকালের বাজারে তা ছিল ১১০ টাকা। এ হিসাবে ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। দেশের ডলারের বাজারে এখন তীব্র সংকট চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত বাজারে ডলার বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ডলারের সরবরাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো উদ্যোগই তেমন কোনো কাজে আসেনি। রেমিট্যান্স প্রবাহও এখন কমতির দিকে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্সের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।