কোনো নিয়মেই থামছে না ঘরমুখী মানুষের স্রোত

Daily Nayadiganta
শিমুলিয়ায় দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের ঢল
শিমুলিয়ায় দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের ঢল – ছবি : নয়া দিগন্ত

সরকার ঘোষিত লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীর কর্মস্থল ছেড়ে দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ২১ জেলার মানুষের যাওয়ার ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। কোনো আইন-কানুনই আটকাতে পারছে না শিমুলিয়ার জনস্রোত। প্রশাসনের সকল কৌশল টপকিয়ে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।

রোববার ভোর থেকে ঘাট এলাকায় হাজার হাজার যাত্রীর ভিড় লক্ষ করা গেছে। যাত্রীর চাপে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারমুখী ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। পারাপারের অপেক্ষায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে কয়েক শ’ গাড়ি।

সকাল থেকে দেখা যায়, পুলিশের বসানো চেকপোস্ট উপেক্ষা করে বিভিন্ন পথে ছোট যানবাহনে যাত্রীরা ঘাট এলাকায় উপস্থিত হচ্ছেন। ঘাটে পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সারি। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। বিগত সময়েও লকডাউনের ঘোষণার সাথে সাথে মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর ঢলের চিরচেনা একই দৃশ্য এখন আবার শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, ‘নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীদের কিছুটা ভিড় রয়েছে। লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়। ঘাট এলাকায় সাড়ে চার শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে।’

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, লকডাউনের কথা শুনে ঘাটে মানুষের খুব চাপ বেড়েছে। একইসাথে গাড়ির চাপও আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাওয়া নৌপুলিশ ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, ট্রলার, লঞ্চ ও সিবোট বন্ধ রয়েছে। কেবল ফেরি দিয়েই পারাপার হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহন। প্রচণ্ড চাপ যাত্রীর।