কোটাবিরোধী ও পেনশন বাতিলের আন্দোলন যৌক্তিক

কোটাবিরোধী ও পেনশন বাতিলের আন্দোলন যৌক্তিক 

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী এবং সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত মনে করে বিএনপি।

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একুশ শতকের এই সময়ে প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক বৈশ্বিক ব্যবস্থায় টিকে থাকতে মেধাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবির সঙ্গে বিএনপি একমত। আশা করি, সরকার ছাত্রসমাজের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা যে আন্দোলন শুরু করেছেন, তাও যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য। তাদের এ আন্দোলন সমর্থন করছি।’ অবিলম্বে পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘প্রত্যয়’ বাতিল হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শিক্ষকদের শুধু বেতনের ওপর নির্ভর করতে হয়। এজন্য পেনশন স্কিমে অর্থ দেওয়া তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও নৃগোষ্ঠীর জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা কিছুটা থাকতে পারে। তবে সেটি ৫৬ শতাংশ নয়, বড়জোর ১৫ শতাংশ হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে নেই, অনেকে এখন বয়োবৃদ্ধ। তাদের সন্তানরা কোটায় চাকরি পেতে পারেন। তবে সেটির নাম করে যে কাউকে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি দেওয়া সমর্থন করতে পারি না।’
সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জনগণের ন্যায্য দাবি দমিয়ে রাখার পুরোনো কৌশলে তারা ছাত্র আন্দোলন দমানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। এ অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে।’

সমকাল