কেন ছাত্রলীগের সাবেকদের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়েছে, প্রশ্ন বিক্ষুব্ধদের

 


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও সেমিনার হলে আলোচনা সভার আয়োজন করে ছাত্রলীগ। তবে সভা শুরুর পরপরই এর প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেয় বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বুয়েটের শহিদ মিনারে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা বলেন, ছাত্ররাজনীতি আইনত নিষিদ্ধ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ কেন ছাত্রলীগকে আলোচনা সভার অনুমতি দিয়েছে তার জবাব দিতে হবে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ব্যানারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় বুয়েটের অডিটোরিয়ামে। অবশ্য পরে বিক্ষোভের মুখে অডিটোরিয়াম ত্যাগ করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, শোক দিবসের কোনো অনুষ্ঠান হলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করবে, বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ব্যানারে প্রোগ্রাম করতে দেয়া হবে না।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বারবার নিরীহ শিক্ষার্থীদের প্রাণ ঝরেছে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অপকর্মে। সবশেষ ছাত্রলীগ নেতাদের নৃশংসতায় নিহত হন আবরার ফাহাদ। এর প্রেক্ষিতে বুয়েটে সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও আজ বুয়েট অডিটোরিয়ামে ছাত্রলীগের আয়োজনে একটি ব্যানার দেখা যায়। কারা, কেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ব্যানারে অনুষ্ঠান আয়োজেনের অনুমতি দিয়েছে, আমরা তার জবাব চাই।

তবে এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেছেন, অনুমতি নেয়ার সময় তারা নিজেদের সাবেক শিক্ষার্থী, এবং পুনর্মিলনী করবে বলে উল্লেখ করেন। আমরা যদি জানতাম তারা বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ, তাহলে অনুমতিই দিতাম না।

/এডব্লিউ