
লর্ডসটা বোধকরি স্টিভেন স্মিথের প্রিয় মাঠ। ইংল্যান্ডের এই মাঠে বারবারই নিজেকে প্রমাণ করেছেন স্মিথ। শেষবার খেলেছিলেন ২০২৩ সালে। সেবারেও ছিল তার দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। বড় মঞ্চের খেলোয়াড় স্টিভেন স্মিথ ২০২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এসেও দেখালেন নিজের ব্যাটের ঝলক। বুধবার প্রথম দিনের খেলায় প্রোটিয়া বোলাররা আগুন ঝরিয়েছেন পিচে। তাতেও শান্ত এক ইনিংস খেললেন স্মিথ।
১১২ বলে করেছেন ৬৬ রান। তাতেই ভেঙেছেন অনেক কীর্তি। ইংল্যান্ডের মাটিতে সফরকারী ব্যাটার হিসেবে তিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই তালিকায় এতদিন ওপরে ছিলেন বেশ কয়েকজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ইংলিশ ভূখণ্ডে ১৮টি ফিফটিতে তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন স্মিথ।
ইংল্যান্ডের মাঠ লর্ডসে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানও এখন তার নামের পাশে। ঐতিহাসিক ভেন্যুটিতে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ ৫৭৮ রান স্মিথের। পেছনে পড়েছেন ওয়ারেন বার্ডসলি, গ্যারি সোবার্স, ডন ব্র্যাডমানের মতো নামেরা।
তবে স্মিথের অনন্য কিছু কীর্তিও আছে, যেখানে পা রাখেননি আর কেউই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে একাধিক ফাইনালে ফিফটি করেছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটার। এশিয়ার বাইরে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির নকআউট ম্যাচে ৫টির বেশি ফিফটি আছে তার। গতকাল আইসিসি নকআউট ম্যাচে ৭ম ফিফটি দিয়ে ছাড়িয়ে গেছেন শচীন টেন্ডুলকারকেও।
৬৬ রানের এই ইনিংসটি লর্ডসে স্মিথের ৫ম পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। ক্রিকেটের ইতিহাসে ভিনদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে এই কীর্তি আছে কেবল শিভনারায়ণ চন্দরপলের।
স্মিথের সামনে সুযোগ আছে আরও এক ঐতিহাসিক রেকর্ডের। প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে নিরেপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্টে ৫০০ রান করার সুযোগ আছে তার সামনে। রিকি পন্টিংয়ের ৪৭০ রান পেরিয়েছেন গতকালই। থেমেছেন ৪৯৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ রান করলেই অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে ইতিহাস গড়বেন স্টিভেন স্মিথ।