ঢাকা
ওয়ানডেতে ৩৫০ রানের স্কোর গড়তে চায় বাংলাদেশ, দলের এমন লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ওয়ানডেতে অন্য দলগুলোর পারফরম্যান্স যেখানে যাচ্ছে, তামিমের আশা, বাংলাদেশকেও সেখানে দেখা যাবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩০৩ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯০ করেও হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজও হেরে বসেছে সেখানেই। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে প্রথম দুই ম্যাচেই কিছু রান কম করেছিল বাংলাদেশ, অমন বলেছিলেন দলের অধিনায়ক, কোচ। এখনকার সময়ে, বিশেষ করে এমন উইকেটে ৩০০ রানও যথেষ্ট নয়, বাংলাদেশকে সেটি বুঝিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৫৬ রানের সম্বল নিয়েও ১০৫ রানের বড় জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে তামিম জানালেন সে লক্ষ্যের কথাই, ‘অবশ্যই (এমন উইকেটে ৩০০ রান যথেষ্ট নয়)। আমাদের দলীয় লক্ষ্য এটি, আমরা ৩৫০ করতে চাই। আমাদের মাথায় আছে সেটি। আগে কখনো করিনি। দলের লক্ষ্য এটিই। পরের ম্যাচেই করব তা নয়, তবে করতে চাই।’
২০২৩ সালের বিশ্বকাপ হবে ভারতে। সেখানকার বেশির ভাগ উইকেটই ফ্ল্যাট হবে, তামিমদের ভাবনায় আছে সেটি, ‘যদি ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের কথা ভাবি, ওখানে ৩০০ রানই ‘পার স্কোর’ হবে। খেলা বদলাচ্ছে। মিরপুর বা ভারতের কিছু মাঠে হয়তো ২৬০-২৭০ করে জিততে পারি। তবে বেশির ভাগ ভেন্যুতেই ২৯০-৩০০-৩১০—এমন করতে হবে। আমরা জানি। সামনের দিনগুলোতে আপনারা আমাদেরও সেখানে পৌঁছাতে দেখবেন, যেখানে অন্যরা যাচ্ছে।’
আজ ৩০ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে গেলেও তামিম আগের দুই ম্যাচেই পেয়েছেন অর্ধশতক। তবে একটি ইনিংসও এরপর আর বড় করতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও খুশি নন এ ওপেনার, ‘আমি খুশি নই মোটেও, কিছু রান করলেও। এমন উইকেট পাওয়াই মুশকিল। এখানে প্রথম ১০ ওভারের পর এত ভালো ছিল উইকেট। ৫০-৬০ রান এমন উইকেটে যথেষ্ট নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি নই মোটেও।’
সব মিলিয়ে তাদের এ সিরিজটি জেতা উচিত ছিল, আরেকবার বলেছেন তামিম, ‘যখনই দল হারে, বিশেষ করে আমরা, তখনই উন্নতির কথা তুলে আনি। এ সিরিজ জেতা উচিত ছিল, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কোনোভাবেই অজুহাত দিতে পারব না। জিম্বাবুয়ে আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’
তবে প্রতিপক্ষ দল জিম্বাবুয়ে বলেই তাদের হার নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, এমন মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘উন্নতির কথা বলতে গেলেই একঘেয়ে হয়ে যায়—হারলেই এটা করা উচিত, ওটা করা উচিত। তবে এখন যেটি বলব, সেটি আপনাদের পছন্দ হতেও পারে, না-ও পারে। আমরা যদি এ সিরিজটা—যেভাবে আমরা হেরেছি…যদি অস্ট্রেলিয়া, ভারত বা এমন শীর্ষস্থানীয় দলের সঙ্গে হারলে এমন প্রশ্ন উঠত না। হয়তোবা দেখা গেল, (বিরাট) কোহলি বা (স্টিভ) স্মিথ এমন ইনিংস খেললে আমরা মেনে নিতাম—ওরা বড় প্লেয়ার, এমন ইনিংস খেলতেই পারে, আমাদের কিছুই করার ছিল না।’
তবে, ‘প্রথম দুই ম্যাচে, রাজা এবং চাকাভার সঙ্গে অন্য ছেলেটা যে ইনিংসগুলো খেলল, এটা প্রমাণ করে, ওয়ানডেতেও অনেক উন্নতি করার দরকার আমাদের। ওদের খাটো করছি না। আমাদের দিক থেকে ভাবলে, অনেক কিছু করার বাকি। ওরা করলে অন্যরাও করতে পারবে আমাদের সঙ্গে। এটি আমাদের সবার জন্যই শিক্ষা।’