ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর বাসভবনে হামলা চালিয়েছে আ’লীগ -মীর্জা ফখরুল

deshjanata.com

জুন ৫, ২০২২

আওয়ামী সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র দল ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান দিতে দিতে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর বাসভবনে হামলা চালিয়ে তাঁর ব্যবহৃত গাড়ী, বাড়ীর জানালা, দরজা, আসবাবপত্র ভাংচুর এবং ৪টি মোটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেয়।

এছাড়াও আশেপাশের বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীদের ২৫টির অধিক দোকান ভাংচুর ও লুটপাট এবং ৩০ জনের অধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করার ঘটনায় উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে। এছাড়াও নোয়াখালী জেলাধীন বেগমগঞ্জ উপজেলায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব বরকত উল্লাহ বুলু ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিরতণ করার সময় আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দুস্থ মানুষের খাদ্য ছিনিয়ে নেয় এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে।

এসময় বিএনপি’র প্রায় ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। সেখানে সাংবাদিকরা ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে গেলে এক সাংবাদিকের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক চড়াও হয়ে তাকে মারধর করে মুঠো ফোন ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা- সেলিম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাস, জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল আজিম সুমন ও চৌমহুনী পৌর বিএনপির সভাপতি- জহির উদ্দিন হারুন সহ ১৭৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই ধরণের কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশে যে ভয়াবহ দু:শাসন বিরাজমান রয়েছে তাতে দেশবাসী এখন এক ভয়ঙ্কর ও ভীতিকর অবস্থার মধ্যে বসবাস করছে। দেশে আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতিতে কোন নাগরিকেরই স্বাধীনভাবে চলাফেরা, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা কিংবা জানমালের ন্যুনতম নিরাপত্তা নেই। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হয়-দেশটা এখন পুরোপুরি আওয়ামী সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার শাসন দীর্ঘ মেয়াদে আয়ত্বে রাখতে বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদেরকে আঘাত করে মূলত; জনগণকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার কৌশল গ্রহণ করেছে। আজ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কর্তৃক খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়ার বাসায় সন্ত্রাসী কর্মযজ্ঞ এবং বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা দায়ের এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও মামলা বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিপীড়ণ- নির্যাতনের কর্মসূচির অংশ। এধরনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা, ভীত-সন্ত্রস্ত এবং বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার অপকৌশল হিসেবেই সরকার পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে এধরণের জঘন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ণ চালিয়ে এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে অতীতে যেমন কোন স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারেনি। তেমনি বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্টরাও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। সরকারের অনৈতিক, অমানবিক ও নিষ্ঠুর সকল কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে এই নির্যাতন ও ভয়াবহ দু:শাসনের অবসান ঘটবেই। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার বাসভবনে হামলাকারীদের এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, মিথ্যা মামলা দায়ের ও হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান।