২১ জুন ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাষায়-গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা বিএনপি এবং তাদের রাজনৈতিক সহযোগী দল গুলো। তাদেরকে অপশক্তি হিসাবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো বিএনপিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অপশক্তি।
অগণতান্ত্রিক পন্থায় সামরিক সেনা ছাউনিতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি সর্বদা গণতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশের অগ্রসরমান গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২১শে জুন) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ওবায়দুল কাদেরের এই বিবৃতিতেই স্পষ্ট বিএনপির রাজনৈতিক আন্দোলনে ভীত হয়ে এসব কথা বলছেন।
এই বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে থাকবে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান কে থাকবেন সেটা স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতিতে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। নির্বাচনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি নির্বাচনের সময় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুধু তাদের রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণ ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবে। বিশ্বে প্রচলিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় এর ব্যত্যয় ঘটানোর অবকাশ নেই।’
বিবৃতিতে বরাবরের মতই তাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভোট ডাকাতি ও মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি অগ্রাহ্য করে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার বয়ান দিয়েছেন। এছাড়া বিবৃতির পুরোটাই হচ্ছে বিএনপি’র প্রতি বিষোদগার করা নানা বাক্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি’র প্রতি বিষোদগার করে বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রের নামে সর্বদা এ দেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। গণতন্ত্রের লেবাসে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ভূত এ দেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাগুরা ও মিরপুর মার্কা উপনির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছিল বিএনপি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই এ দেশের জনগণের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে। বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে সকল ধরনের পন্থা অবলম্বন করেছে, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে এ দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার কেন্দ্রবিন্দু বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা করা। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সংখ্যালঘুদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালায়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ২১ সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে হত্যা করে।’