কুয়াশার কারণে দেরিতে শুরু হয়েছিল সকালের খেলা। টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে অবশ্য প্রথম সাফল্য পেতে ৫২তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে মধ্যাঞ্চলকে। পিনাক ও এনামুলের জুটিতেই ওঠে ১৩৭ রান। সে জুটি ভাঙেন ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বোলিং করতে আসা মুরাদই। ১৬১ বলে ৬৫ রান করে পিনাক হন বোল্ড। এরপর এনামুলকে ফেরান মুরাদ। ব্যাকফুটে গিয়ে এলবিডব্লু হওয়ার আগে এনামুল করেন ১৭১ বলে ৭৬ রান। অবশ্য আম্পায়ারের দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্তে অবশ্য একটু বিস্মিতই হতে দেখা গেছে এনামুলকে।
এনামুল আউট হওয়ার ঠিক আগের ওভারে আবু হায়দারের বলে ক্যাচ তোলেন অমিত হাসান। বিসিএলে এর আগের দুই ইনিংসেই অমিত শতক করেছিলেন, নিজের সর্বশেষ চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তিনটি শতক ছিল তাঁর। আজ অবশ্য ফিরেছেন ১০ রান করেই।
এরপর ছোটখাটো ধসই নেমেছিল দক্ষিণাঞ্চল ইনিংসে। হাসানের তৃতীয় শিকার হয়েছেন তৌহিদ হৃদয়, কোনো রান না করেই। কট-বিহাইন্ড হয়েছেন তৌহিদ, তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশ মনে হয়েছে তাঁকেও। এরপর মেহেদী হাসানকেও ফিরিয়েছেন হাসান, সামনে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মেহেদী। দক্ষিণাঞ্চল নিজেদের শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে ১৯ রানের ব্যবধানে।
জাকির হাসান ও অধিনায়ক ফরহাদ রেজা অবশ্য সে চাপ সামাল দেন ভালোভাবেই। দুজন রানও তুলেছেন দ্রুতগতিতে। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন আছে ৮০ রানে। জাকির দিন শেষে অপরাজিত ৬০ বলে ৪৪ রান করেন, ফরহাদ ব্যাট করছেন ৪৭ বলে ৪৬ রানে। দক্ষিণাঞ্চল অধিনায়ক এখন পর্যন্ত ৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়। শেষ দিকে ইনিংসের অষ্টম বোলার হিসেবে মোহাম্মদ মিঠুনকেও এনেছিলেন শুভাগত হোম, তবে জুটিটা ভাঙতে পারেননি।
প্রথম দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণাঞ্চল: ৮০ ওভারে ২৬১/৫ (পিনাক ৬৫, এনামুল ৭৬, জাকির ৪৪*, ফরহাদ ৪৬*; আবু হায়দার ১/৫২, হাসান ৪/৭০)