এক দশক ধরে চাকরি কমছে
আবুল কাশেম | ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
গত ডিসেম্বর মাসে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা ‘ন্যাশনাল জবস স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’-এর খসড়ায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় খসড়াটি তৈরি করেছেন গবেষক ড. রিজয়ানুল ইসলাম ও রুশিদান ইসলাম রহমান। তারা বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে ‘কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি’ বলে উল্লেখ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বেকারত্ব দূর করতে হলে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ২০২৯-৩০ অর্থবছর পর্যন্ত প্রতি বছর পাঁচ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পাশাপাশি দেশে ১৮ লাখ ৪০ হাজার করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও (বিডা) নিবন্ধিত বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিপরীতে ২০১১-১২ অর্থবছরের পর থেকে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশি-বিদেশি নিবন্ধিত কোম্পানিতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৬৬২ জনের। পরের অর্থবছর সামান্য কমে নামে ৪ লাখ ৫১ হাজার ১৫০ জনে। ২০১৪-১৫ সময়ে তা আরও কমে নামে ২ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৩ জনে। পরের অর্থবছর কর্মসংস্থান হয় ২ লাখ ২৬ হাজার ৪১১ জন। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে কর্মসংস্থান হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯২ জন।
খসড়া কৌশলপত্রটির বিষয়ে কথা বলতে গতকাল গবেষক ড. রিজয়ানুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ২০১৯ সালে বিজিএমইএর আওতাধীন ৬৩টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। ফলে ৩২ হাজার ৫৮২ জন শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন।
বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার তথ্য স্বীকার করে শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ায় তৈরি পোশাক খাতসহ শিল্প খাতে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। আগে যে পরিমাণ সুতা উৎপাদন করতে আড়াই হাজার শ্রমিক লাগত, এখন সেখানে লাগছে মাত্র ৬০০ শ্রমিক। প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এখন উৎপাদনের অনেক প্রক্রিয়াই কমে গেছে, অনেক কিছু যন্ত্রের সাহায্যে হচ্ছে। তাই শিল্পের উৎপাদন, রপ্তানি বাড়লেও কর্মসংস্থান বাড়ছে না, উল্টো কমছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব শুরু হলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৫০ লাখ শ্রমিক বেকার হবে। সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান কমবে গার্মেন্ট, টেক্সটাইল, চামড়াসহ উৎপাদনমুখী খাতে।
কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকারের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়ন করে প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনে কর্মসংস্থান বাড়াতে মূল নজর দেওয়া দরকার হালকা প্রকৌশল খাতে।
খসড়া কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শ্রমবাজার খারাপ ও ভালো খবরে মেশানো। ২০১৩ সাল পর্যন্ত কর্মসংস্থান বাড়ছিল। তারপর থেকেই কমে যাচ্ছে। ২০০২-০৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ২৫ শতাংশ। ২০০৬-১০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশে। ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত সামান্য কমে প্রতি বছর কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি নামে ২ দশমিক ৩০ শতাংশে। আর ২০১৩-১৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর কর্মসংস্থানে প্রবৃদ্ধি হয় মোটে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। জনসংখ্যার বোনাসকাল থাকায় ২০৪১ পর্যন্ত যখন কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়বে, তখন কর্মসংস্থান কমে যাওয়া খুবই বিস্ময়কর। এ থেকে স্পষ্ট যে, জনসংখ্যার বোনাসকালের সুবিধা পুরোপুরি উপভোগের আগেই কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে তা শেষ হয়ে যাবে। কর্মসংস্থান নিয়ে একটি মাত্র সুখবর হলো, এখন নিরক্ষর কর্মীর সংখ্যা কমছে, বাড়ছে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষিত কর্মী।
শিল্প খাতে কর্মসংস্থান কমে যাওয়া প্রসঙ্গে এতে বলা হয়েছে, এ খাতে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। ২০০৫-১০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর শিল্পে কর্মসংস্থানে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, তা ২০১০-১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে কমে নেমেছে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশে। ১৯৯৯-২০১০ সাল পর্যন্ত শিল্প খাতে প্রতি বছর সাড়ে তিন লাখ কর্মসংস্থান হতো, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হচ্ছে দুই লাখ করে।
‘জিডিপি ও শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধির সময় কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। তার অর্থ, প্রতি ইউনিট পণ্য উৎপাদনে কর্মসংস্থান কমছে। ২০০৫-০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে প্রতি ১ শতাংশ জিডিপির বিপরীতে কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি (কর্ম স্থিতিস্থাপকতা) ছিল দশমিক ৫৪৯৯ শতাংশ। ২০১০ সালে তা দশমিক ২৭৫৫ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে দশমিক ১৭৬৫ শতাংশে নেমে এসেছে। উচ্চ উৎপাদনশীলতার সময় কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া উদ্বেগজনক। এতে বিস্ময় যে, দেশ কর্মহীন প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে’ খসড়া নীতিতে যোগ করা হয়েছে।
খাতওয়ারি কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরে খসড়া কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান শিল্প খাত তৈরি পোশাকেও ২০১১-১২ সময়ের পর কর্মসংস্থান বাড়ছে না। তখনো এ খাতে কর্মসংস্থান ছিল ৪০ লাখ, এখনো তাই। এটা এমন নয় যে, এ খাতের রপ্তানি কমে গেছে। ১৯৮৯-৯৫ সময় পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ওই সময় এ খাতে কর্মসংস্থানে প্রবৃদ্ধি ছিল ২৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ১৯৯৫-৯৯ সময়ে পোশাক রপ্তানিতে বার্ষিক ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বিপরীতে কর্মসংস্থানে প্রবৃদ্ধি হয় ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। ১৯৯৯-২০০৪ সময়ে প্রতি বছর ৮ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধির বিপরীতে তৈরি পোশাক খাতে কর্মসংস্থান বাড়ে ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ হারে। ২০০৫-১০ পর্যন্ত সময়কালে পোশাক খাতে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, এ সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয় ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর ২০১১ থেকে ’১৬ পর্যন্ত সময়ে পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বছরে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ, বিপরীতে কর্মসংস্থান বেড়েছে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ হারে।
পোশাক খাতের মতোই খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পেও কর্মসংস্থান কমছে। ২০১৩ সালে এ খাতে কর্মসংস্থান ছিল ১২ লাখ ৩০ হাজার, তা ২০১৫-১৬-তে নেমেছে ৭ লাখ ৪ হাজারে।
বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রয়েছে নির্মাণ খাতের। ২০০৫-১০ সময়ে নির্মাণ খাতে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি বেশ বাড়ছিল। ২০১০-১৩ সময়ে তা আবার কমে থাকে। এ খাতে কর্মসংস্থান কমে যাওয়াকে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে খসড়া কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, এটি ভালো যে, ২০১৩-এর পর থেকে এ খাতে আবার কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। শুধু শিল্প খাতেই নয়, ২০০৫-১৩ সময়ে সেবা খাতেও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কমেছে।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। ২০১৩ সালে তাদের মধ্যে বেকার ছিল ৮ দশমিক ১ শতাংশ, ২০১৭ সালে বেকার ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে প্রায় ৩০ ভাগ যুবক কোনো ধরনের পড়াশোনা, চাকরি বা প্রশিক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে তাদের বিপুল সক্ষমতা উৎপাদনশীলতায় কোনো কাজে আসছে না আর সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি বড় অপচয়। এটি বড় সত্য, চাকরি পেতে তাদের গ্রহণ করা শিক্ষা কোনো কাজে লাগছে না।
দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমলেও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বেকারত্বের হার নব্বইয়ের দশক থেকে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। ১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১০ সালে তা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আর ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত সময়ের জরিপ অনুযায়ী বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০১৬-১৭-তেও অপরিবর্তিত ছিল। এটি শুধু বেকারত্বের কম হারই দেখাচ্ছে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থান স্থিতিশীলতার তথ্য দিচ্ছে। সপ্তাহে কোনো একটি কাজ করলেই তাকে বেকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ায় এমনটি হচ্ছে। কিন্তু বেকারত্বের চিত্র বোঝা যায় কর্মসংস্থানে নিয়োজিতদের তথ্য দেখলে। ২০১৩ ও ’১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপে দেখা যায়, সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করেন এমন শ্রমশক্তির হার ২০১৬-১৭ সময়ে ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০০২-০৩ সালে এটি ছিল ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ, ২০০৫-০৬ সালে ছিল ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের করা খসড়া কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে প্রতি বছর চাকরির বাজারে প্রবেশকারীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি উদ্বৃত্তদের জন্যও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মসংস্থানে গতি ফেরাতে না পারলে তা অর্জন কঠিন হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০২-১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে কর্মসংস্থান বেড়েছে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ হারে। এ হারে কর্মসংস্থান বাড়লে এবং প্রতি বছর পাঁচ লাখ কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গেলেও আগামী ২০২০-২১ থেকে ২০২৯-৩০ অর্থবছর পর্যন্ত প্রতি বছর ১৮ লাখ ৪০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। যদি এখনকার মতো কর্ম স্থিতিস্থাপকতা দশমিক ১৭৬৫ শতাংশ বহাল থাকে, তাহলে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেও প্রতি বছর যে পরিমাণ তরুণ কর্মবাজারে ঢুকবে, তাদের চাকরি দেওয়া সম্ভব হবে না, উদ্বৃত্তদের তো নয়-ই। কর্ম স্থিতিস্থাপকতার হার দশমিক ৩ শতাংশ ও জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হয়, তাহলে ২০২৪-২৫ সময়ে উদ্বৃত্ত জনশক্তির অর্ধেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। আর ২০২৪-২৫ থেকে ২০২৯-৩০ সময়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ হলে এবং কর্ম স্থিতিস্থাপকতার হার দশমিক ২৫ শতাংশ হলে ২০৩০ নাগাদ উদ্বৃত্ত জনশক্তির কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত সরকার কর্মসংস্থান বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ নিয়ে বাস্তবায়ন করছে, সে তথ্য তুলে ধরে খসড়া কৌশলপত্রে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, অর্থনীতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার চেয়ে দ্রুত হারে ভালো চাকরি বা ডিসেন্ট ওয়ার্কের সুযোগ বাড়াতে হবে। এজন্য কৃষি থেকে অকৃষি খাত নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেসরকারি খাতকে প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা দিতে হবে। এছাড়া উদ্যোক্তা উন্নয়ন, মজুরিভিত্তিক সামাজিক কর্মসূচি নেওয়া, লেবার মার্কেট তথ্যভান্ডার গড়ে তোলাসহ বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে।