একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে: সালাহউদ্দিন

logo

স্টাফ রিপোর্টার

(১ ঘন্টা আগে) ২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২:১৯ অপরাহ্ন

mzamin

facebook sharing button

একটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) উদ্যোগে ‘চব্বিশোত্তর বাংলাদেশে তারুণ্যের ভাবনায় শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘গতকাল একটি দল বলেছে—আমরা নাকি চাপে জুলাই সনদে গণভোটের প্রস্তাব মেনে নিয়েছি। আমরা বলেছি—জাতীয় নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হতে পারে। এখন একটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে। তবে তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। আমরা আশা করছি সুন্দর সমাধান হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আদেশ জারি ও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি কাঠামো দিতে পারেন। সবই হতে হবে বাস্তবতার নিরিখে এবং আইন দিয়ে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ বাতিলের দাবি তুলতে না পারে। সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ’২৪-এর বাংলাদেশে আমাদের প্রত্যাশা ও ভাবনা কী? নতুন প্রজন্মের ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য আমরা ইতিমধ্যেই তারুণ্যের ভাবনা জানতে সভা-সেমিনার করেছি। ’২৪-এর বাংলাদেশের প্রধান শিক্ষা হলো—পরিবর্তন। সবক্ষেত্রে মেধা, জ্ঞান এবং প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হবে। সমাজের যে স্তরেই আমরা কাজ করি না কেন, আমাদেরকে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভুমিকা ব্যাপক। কারণ তারা তরুণ প্রজন্মকে শেখান।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা যে পরিবর্তন আশা করছি, তা সর্বত্রই হতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন শুধু বৈষম্যমূলক চাকরি ব্যবস্থা বা কর্মসংস্থানের জন্য নয়। সেটি ছিলো দীর্ঘ ১৫-১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ শাসনের বিরুদ্ধে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ। যে কারণে দ্রুত গতিতে এক দফার ভিত্তিতে সরকার বিরোধী আন্দোলন তীব্র হয় এবং বহু লড়াই সংগ্রাম ও রক্তের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।’

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যত সংস্কারই অমরা করি না কেন—মানসিক সংস্কার আগে করতে হবে। না হলে আমরা যত সংস্কারের কথা বলিনা কেন— আমরা কিন্তু আইনে রূপান্তর করতে পারবো না। গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালী আইনি রূপান্তর ঘটাতে পারলে জাতির মুক্তি হবে। আসুন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে আমরা সকলে একসঙ্গে হই।’

ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন ও জাতিসংঘের সাবেক চিফ অব স্টাফ রেহান এ আসাদ প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here