কিছুক্ষণ আগেই সেঞ্চুরিয়নের উইকেট দেখে এসেছেন লিটন দাস। খুব স্বাভাবিকভাবেই ২২ গজ নিয়ে প্রশ্ন করলেন সংবাদকর্মীরা—‘উইকেট কেমন দেখলেন?’
কাল সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের আগে এ প্রশ্ন যেন অবধারিত!
বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার, স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ আজ উইকেট নিয়ে কথা বলেছেন। লিটনকেও কথা বলতে হলো। কারণ? জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটের বাড়তি বাউন্স, যা সব সময় নিয়মও মানেনি। যে অসমান বাউন্সের কথা ম্যাচ শেষেই বলেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তা সামলে উঠতে না পারায় আগে ব্যাট করে ১৯৪ রানের বেশি তুলতে পারেননি। চেনা উইকেটে কীভাবে ব্যাট করতে হবে, তা জানা থাকায় ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজে ১–১ সমতায় দুই দল।
তৃতীয় ম্যাচ অবশ্য জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে নয়, প্রথম ম্যাচের ভেন্যু সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে। লিটনকে তাই জরুরি প্রশ্নটাই করা হয়েছে—উইকেট কি প্রথম ম্যাচের মতোই, না আলাদা? যেটির উত্তরে লিটন বলেছেন, ‘ভালোই। আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছে।’
দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩ ওভারের মধ্যে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েই সর্বনাশটা হয়েছে। তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ওয়ান্ডারার্সের উইকেটের দিকেই ইঙ্গিত করলেন লিটন, ‘কেন বিপর্যয়ে পড়েছি, সেটা আপনারাও বুঝেছেন। উইকেট যদি ভালো আচরণ করে, চেষ্টা করব প্রথম ম্যাচে যেভাবে খেলেছি, তেমনই খেলতে।’
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ করেছিল ৩১৪ রান, যাতে বড় ভূমিকা রেখেছিল লিটন, সাকিব ও ইয়াসিরের অর্ধশতক।
তৃতীয় ম্যাচের আগে উইকেটের চেয়েও সম্ভবত বেশি আলোচনা সাকিব আর তাসকিনকে নিয়ে। সাকিবের পরিবারের একাধিক সদস্য অসুস্থ থাকায় এ ম্যাচ না খেলেই তাঁর ফিরে আসারও একটা শঙ্কা জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তাসকিনকে নিয়ে আলোচনা হঠাৎ আইপিএলে খেলার সুযোগ পাওয়ায়। বিসিবি সিরিজ শেষ হওয়ার আগে তাঁকে ছাড়তে রাজি হয়নি। আজ অনুশীলনে তাই সবার বাড়তি নজর ছিল সাকিব ও তাসকিনের ওপর। দুজনকেই স্বাভাবিক মনে হয়েছে অনুশীলনে।
লিটনের কথাতেও যার সমর্থন মিলল, ‘আইপিএল ও পারিবারিক সমস্যা এখন অতীত। সামনে এখন ম্যাচ। যে যেখানে যেমন সুযোগ পাবে, চেষ্টা করবে শতভাগ দেওয়ার। সাকিব ভাই ও তাসকিন ভাই ব্যতিক্রম কেউ নন। তাঁরা দলের অংশ, সেরা খেলোয়াড়। অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভালো কিছু দেওয়ার।’
সেই চেষ্টায় সাফল্যের ওপর সিরিজ নির্ধারক তৃতীয় ম্যাচের ভাগ্য কিছুটা হলেও নির্ভর তো করছেই।