মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয়ের টাকা কম খরচে উত্তোলন করা যাচ্ছে। সারা দেশে ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রায় ২ হাজার ৭০০ এটিএম বুথ থেকে কম খরচে এই টাকা উত্তোলন করা যায়। এ ক্ষেত্রে প্রতি হাজারে খরচ পড়ে ৭ টাকা। বিকাশ অ্যাপ ও ইউএসএসডি চ্যানেল *২৪৭# উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করে এই টাকা উত্তোলনের সুযোগ রয়েছে। এর ফলে বিকাশের মাধ্যমে প্রবাসী আয় বেশি আসছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
বিকাশ সূত্রে জানা গেছে, গত রমজান মাসের প্রথম ২০ দিনে ১১০টির বেশি দেশ থেকে বিকাশ হিসাবের মাধ্যমে ৫১৭ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসে। আর গত ১২ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল সময়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৯৬৫ কোটি টাকার কিছু বেশি। এই সময়ে প্রায় ১০ লাখ প্রবাসী বিকাশের মাধ্যমে আয় পাঠান। অর্থাৎ এই সময়ে দৈনিক প্রবাসী আয় এসেছে ৩২ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর আগে ২০২৩ সালে বিকাশের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছিল ৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা।
সাধারণত এজেন্ট থেকে টাকা উত্তোলনে প্রতি হাজারে খরচ হয় ১৮ টাকা ৬০ পয়সা। তবে দুটি প্রিয় এজেন্ট থেকে টাকা উত্তোলনে প্রতি হাজারে খরচ হয় ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। তবে এই খরচে মাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা তোলা যায়।
তবে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের অর্থ এখন আরও কম খরচে উত্তোলন করা যায়। সারা দেশে ১৯টি ব্যাংকের প্রায় ২ হাজার ৭০০ এটিএম বুথ থেকে এই অর্থ উত্তোলন করা যায়। এতে প্রতি হাজারে খরচ পড়ে ৭ টাকা। যেসব ব্যাংকের বুথ ব্যবহার করে কম খরচে টাকা উত্তোলন করা যায় সেগুলো হচ্ছে দি সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও সিটিজেনস ব্যাংক।
বিকাশের কর্মকর্তারা বলেন, কম খরচে আয় পাঠানোর সুবিধা চালু করায় প্রবাসীদের কাছে বিকাশ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফলে বিকাশের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে দেশে থাকা প্রিয়জনদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বাড়ছে। বিশেষ করে পবিত্র রমজান ও ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা এই সেবা বেশি নিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রতি হাজারে ২৫ টাকা সরকারি প্রণোদনাও পাচ্ছেন তাঁদের স্বজনেরা। ফলে অনেকেই এখন অবৈধ পথ ছেড়ে বৈধ পথে আয় পাঠাচ্ছেন।
prothom alo