আসন ভাগাভাগি নিয়ে মার্কেটিং করা হচ্ছে: গয়েশ্বর

 আমার দেশ
৯ মার্চ ২০২৩

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মার্কেটিং করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, প্রতিবেশি বা বিদেশি যারা এই মার্কেটিং করছেন তাদের বলব- আপনারা ক্ষান্ত হোন। এ দেশের জনগণ কী চায় সেটা উপলব্ধি করুন, অন্যথায় জনগণ আপনাদের কাপড়-চোপড় খুলে ফেলবে।

বৃহস্পতিবার (৯ই মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শিরীন সুলতানা, ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এমন সময় আসবে পাড়া-মহল্লায় লেখা থাকবে- এখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, এখানে কোনো আওয়ামী লীগ নেই। যেভাবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর লেখা হয়েছিল- এখানে রাজাকার নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ আজ মুক্তি চায়, বাঁচাতে চায়। এটা কিন্তু আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বাবার কথা। আমরা সেই আন্দোলন করছি। এ দেশের মানুষও ভোটাধিকার চায়। এবারের সংগ্রাম গণতন্ত্রের সংগ্রাম, ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সংগ্রাম।

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটাতে জনগণ প্রস্তুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলন যখন বিস্ফোরণমুখী, তখন কৃত্রিম বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন দিকে নিয়ে, বিএনপিকে নির্যাতন করে আপনারা (সরকার) একটি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছেন। বিএনপি ও মানুষ মারার বিস্ফোরণ ঘটাবেন না।

তিনি বলেন, মানুষ ডানে তাকাচ্ছে না, বামেও তাকাচ্ছে না। তাকাচ্ছে সামনের দিকে। এদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়। গণতন্ত্র শুধু বিএনপি’র একার জন্যই নয়। সবাইকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নতুন কোনো ফাঁদ তৈরি করে আর কিছু দালাল বেচাকেনা করে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় নেই জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, হাজার বছর থেকে সবাই জানেন অসত্য সব সময় পরাজিত হয়। সত্যর জয়লাভ হয়। কিন্তু মিথ্যা কখনো জয়লাভ করতে পারে না। তাই বলব জেলের তালা খুলে দেন। বন্দীদের মুক্তি দেন। বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির তালা খুলে দেন। তাকে মুক্তভাবে চলতে দেন।

সেলিমা রহমান তার বক্তব্যে বলেন, সরকারের সকল অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলন যেকোনো সময় জনবিস্ফোরণ ঘটবে। এ কারণে সরকার তার পুরানো খেলা শুরু করেছে।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সরকারের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি রাখা হয়েছে। আমাদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বহু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা করে চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।