ঢাকা
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কারো সঙ্গে গত তিন মাসে তাঁর কথাও হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটিকে তিনি যে নামগুলো, সেগুলো কাউকে জিজ্ঞেস করে দেননি।
নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটি যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে, তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর ৩ দিন আগে জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘কাশ্মীর ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি যতই সার্চ করুক, জনগণের চেয়ে বেশি সার্চ তারা করতে পারবে না। রাষ্ট্রপতিকে নাম পাঠানোর ৩ দিন আগে বাছাইকৃত ১০ জনের নাম প্রকাশ করা হলে তাঁদের সম্পর্কে জনগণ সব তথ্য দিতে পারবে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়ে কেউ মুখ খোলে না উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই আইন বাতিল করতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সার্চ কমিটির কাছে আমি আটজনের নাম বলেছিলাম। আমি কাউকে জিজ্ঞেস করে নাম দিইনি। হঠাৎ হানিফ আবিষ্কার করলেন, এটা বিএনপির দেওয়া নাম। এই মিথ্যাচার কেন করলেন? এই ভুল তথ্য কেন দিলেন? এটা আমি জানি না। আমার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কারোর গত তিন মাসে কথাও হয়নি।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, তিনি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা নন এবং কোনো দিন বিএনপির সদস্য বা উপদেষ্টাও ছিলেন না।