কারা হবে বিরোধী দল, লাঙ্গল না স্বতন্ত্র?

কারা হবে বিরোধী দল, লাঙ্গল না স্বতন্ত্র?

নাটকীয় কিছু না ঘটলে বিএনপিবিহীন ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় অনেকটাই নিশ্চিত। তবে বড় প্রশ্ন, এ সংসদে প্রধান বিরোধী দল হবে কারা? জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছাড় দেওয়া ২৬ আসনে নৌকার প্রার্থী সরলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৩ আসনে চ্যালেঞ্জে ফেলেছে লাঙ্গলকে। দুটি আসনে নিজ দলের এমপিরা স্বতন্ত্র হয়ে বিপদ বাড়িয়েছেন। শুধু লাঙ্গলের বিপদ নয়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসনে নৌকা ডোবাতে পারেন, এমন স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভীতি ছড়াচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলে। ফলে আগামী সংসদে সংখ্যায় জাপাকে ছাপিয়ে যেতে পারেন স্বতন্ত্র এমপিরা।

নৌকাবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রায় একই রকম প্রতীক পাওয়ায় তাদের মধ্যে আগাম যোগাযোগের আভাস মিলেছে। প্রতীক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৭৭ স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘ঈগল’ ও ‘ট্রাক’ প্রতীক পেয়েছেন। সমকালের প্রতিনিধিদের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাক পাওয়া ৭৩ প্রার্থীর ৫৪ জন নৌকার মনোনয়নবঞ্চিত। ঈগল পাওয়া ১০৪ প্রার্থীর ৬৮ জনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হয়েছেন। ফলে ‘ঈগল’ এবং ‘ট্রাক’ আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী প্রতীক’ হয়ে উঠেছে।

বিরোধী দল হবে কারা
ফের বিরোধী দল হওয়া নিশ্চিত করতে ৫০ আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সরিয়ে দেওয়ার শর্ত দিয়ে ভোটে আসে জাপা। তবে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সরাতে রাজি হয়নি আওয়ামী লীগ। জাপাকে ভোটে রাখাতে ২৬ আসন ছাড়লেও শর্ত দিয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে জিততে হবে নিজের শক্তিতে।

এদিকে সমঝোতার কথা অস্বীকার করে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আওয়ামী লীগ হবে বিরোধী দল। জাতীয় পার্টি ১৫১ আসনের বেশি পেয়ে সরকার গঠন করবে। ছাড় পাওয়া আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে লাঙ্গল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লড়াই করে জিতব। ভয়ের কিছু নেই।

গত ১৫ বছরের নির্বাচনী পরিসংখ্যান বলছে, ভোটে দিন দিন দুর্বল হচ্ছে লাঙ্গল। এককালের ঘাঁটি বৃহত্তর রংপুরেও টিকতে পারছে না। জাপা সূত্রের খবর, আওয়ামী লীগ ১০ থেকে ১২টি আসনে জয়ের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এর বাইরে দুই-তিনটির বেশি আসনে জয়ী হওয়া জাপার জন্য কঠিন। জাপার অবস্থান নেই, এমন চারটি আসন রয়েছেও আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়ার তালিকায়। এতে অবস্থা আরও কঠিন হয়েছে।

অন্তত ১১০ আসনে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা এবং স্থানীয় সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, কম-বেশি ৪০ আসনে জয়ী হতে পারেন তারা। এতে গত দুই বারের মতো আগামী সংসদে জাপার প্রধান বিরোধী দল হওয়া অনিশ্চিত।

বিধি অনুযায়ী, সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী বৃহত্তম দল বা অধিসংঘ হবে প্রধান বিরোধী দল। দশম সংসদে ১৬ এমপি এক হয়ে পৃথক সংসদীয় দল গঠন করেছিলেন। আগামী সংসদে স্বতন্ত্র এমপিরা যদি সংখ্যায় জাপাকে ছাড়িয়ে যান এবং এক হয়ে সংসদীয় দল গঠন করেন, তবে বিরোধী দল হতে আইনে বাধা নেই।

বিএনপিবিহীন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপাকে ৪২ আসন ছেড়েছিল আওয়ামী লীগ। এর ৩৩টিতে জয় পায়। এসব আসনে নৌকার মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন না। বাকি ৯ আসনের ছয়টিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে হেরে যান জাপা প্রার্থীরা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দলটিকে ২৬ আসন ছাড়ে আওয়ামী লীগ; এর ২১টিতে জয় পায় লাঙ্গল। দুটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল। দুটিতেই ভরাডুবি হয় লাঙ্গলের।

দশম সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগকে হারায় জাপা। উপনির্বাচনে দুটি আসনে নৌকাকে হারালেও, জাতীয় নির্বাচনে এটাই আওয়ামী লীগকে হারানোর একমাত্র উদাহরণ। গতবার যে ১৪৫ আসনে নৌকার বিরুদ্ধে লাঙ্গল ছিল, বৃহত্তর রংপুরসহ সব জায়গায় জাপার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এবারও তিন-চারটি আসন বাদে কোথাও নৌকার বিরুদ্ধে লাঙ্গলের জয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

জাপার এক কো-চেয়ারম্যান সমকালকে বলেন, আগামী সংসদে বিরোধী দল হওয়া কঠিন। স্বতন্ত্রের কারণে তৃতীয় স্থানে নেমে যাবে জাপা।

রংপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গা সমকালকে বলেন, প্রধান বিরোধী দল হওয়া দূরের কথা ১০টি আসন পাবে না। যদিও জাপার তিন শীর্ষ নেতার একজন সমকালকে বলেছেন, তা হবে না। দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর জোট বিরোধী দল হলে, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।

তবে জাপার রওশনপন্থি এক নেতা বলছেন, এ ধারণা ভুল। জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বছর দুয়েক ধরে কড়া সমালোচনা করে সরকারকে বারবার বিব্রত করেছেন। আগামীতে জাপাকে বিরোধী দল করার পথ অনেকটাই রুদ্ধ।

১৫ আসনে জাপার জেতা কঠিন
নীলফামারী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম মোস্তফা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও জাপার এমপি রানা মো. সোহেলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে রয়েছেন গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এর মাধ্যমে আদতে গোলাম মোস্তফাই ভোটে রয়েছেন।

নীলফামারী-৪ আসনে জাপার এমপি আহসান আদেলুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখসেদুল মোমিন। তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন।

রংপুর-১ আসনেও প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে লাঙ্গল। তবে এখানে আওয়ামী লীগ নেতা নন, জাপার এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। লাঙ্গলের হোসেন মকবুল শাহারিয়ারকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বলে জানা গেছে।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি পনির আহমেদের বিরুদ্ধে নৌকার মনোনয়নবঞ্চিত হামিদুল হক খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, তাঁর প্রভাব রয়েছে ফুলবাড়ী উপজেলায়।

গাইবান্ধা-২ আসনে লাঙ্গলের আবদুর রশিদ সরকারকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুখে পড়তে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবিরের বিরুদ্ধে। কবির জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি এমপি হতে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন।

সাতক্ষীরা-২ আসনে লাঙ্গলের আশরাফুজ্জামান আশুর প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান এমপি মীর মোস্তাক আহমদে রবি। তিনি নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আশরাফুজ্জামানকে ছাড় দিতে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু। স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, তাঁর সমর্থন না পেলে জাতীয় পার্টির জেতা মুশকিল।

পিরোজপুর-৩ আসনে জাপার মাশরেকুল আজম রবি আওয়ামী লীগের ছাড় পেলেও নিজ দলের এমপি রুস্তম আলী ফরাজীকে মোকাবিলা করতে হবে। লাঙ্গল না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন চারবারের এমপি ফরাজী। ২০১৪ সালেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী হন।

নৌকা সরে যাওয়ায় ময়মনসিংহ-৫ আসনে জাপার সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন মুক্তি ফাঁকা মাঠ পেয়েছিলেন। তবে নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় জাপা চাপে পড়েছে।

ময়মনসিংহ-৮ আসনে চাপ আরও বেশি। সেখানে লাঙ্গলের দুইবারের এমপি ফখরুল ইমামের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দু’বারের উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন। নৌকা না থাকলেও লাঙ্গল জিতবে কিনা, তা এখন আলোচনা চলছে।

মানিকগঞ্জ-১ আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাপার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামের সমর্থনে নৌকার প্রার্থী তুলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখানে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ। তাঁর বিরুদ্ধে লাঙ্গলের জয় পাওয়া কঠিন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জি এম কাদের তাঁর স্ত্রী শেরিফা কাদেরের জন্য ঢাকা-১৮ আসনে ছাড় নিশ্চিত করে নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দেন। এই আসনে জাপার সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল। এখানে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের এমপি হাবিব হাসানের সমর্থন না পেলে লাঙ্গলের জেতা সম্ভব নয় বলে জাপা সূত্র জানিয়েছে। খসরু চৌধুরী বলছেন, অনায়াসে জিতবেন।

হবিগঞ্জ-১ আসনে জাপার সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী বাবুর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আরেক সাবেক এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। ভোটের মাঠে তাঁরই পাল্লা ভারী বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

না চেয়েও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের ছাড় পেয়েছে জাপা। তবে এখানেও পরিস্থিতি অনুকূলে নয়। জাপার দু’বারের এমপি জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি গত অক্টোবরের উপনির্বাচনে ৩৭ হাজার ভোট পান। ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৪০ হাজার ভোট পান। সেই নির্বাচনে ৭২ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মঈনউদ্দিন মঈন নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। গত নির্বাচনে জাপার রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া শেষ সময়ে নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছিলেন। তিনি এবারও দলটির প্রার্থী।

ফেনী-৩ আসনে জাপার এমপি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থনে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করা হলেও তাঁর জয় সহজ নয়। সাবেক এমপি রহিম উল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জাপাকে হারিয়ে এমপি হন।

চট্টগ্রাম-৮ আসনে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠকে হারাতে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে মাঠে নেমেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম।

১১ আসনে জাপার পথ সহজ 
নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহারের পর ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি হাফিজ উদ্দিন, রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদের, কুড়িগ্রাম-১ আসনে এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বগুড়া-২ আসনের এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ এমপি নুরুল ইসলাম তালুকদার, পটুয়াখালী-১ আসনে কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনের এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মুজিবুল হক চুন্নু, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি এ কে এম সেলিম ওসমান, চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের জয়ের পথ অনেকটাই সহজ।

নৌকাবঞ্চিত শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই এই ১১ আসনে। বরিশাল-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক এমপি প্রার্থী হলেও লাঙ্গলকে বড় পরীক্ষায় ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। বগুড়া-২ আসনের বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম। বিএনপির সমর্থন না থাকায় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ১১ আসনে লাঙ্গলের বিরুদ্ধে বাকি প্রার্থীরা নামসর্বস্ব দলের।

শরিকরা অনিশ্চিত স্বতন্ত্রে
কুষ্টিয়া-২ আসনে ১৪ দলের শরিক জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কামরুল আরেফিন। এই আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন। লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জাসদের মোশারফ হোসেনের নৌকার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মো. আবদুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশার নৌকার বিরুদ্ধে রাজশাহী-২ আসনে মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। পিরোজপুর-২ আসনে জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে হারাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। আওয়ামী লীগের সমর্থন ছাড়া এই চার স্বতন্ত্রের বিরুদ্ধে শরিকদের জয় কঠিন।

সমকাল