পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়ার লিডিং ফোর্স হতে চাই। গড়ে তুলতে চাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে সমুন্নত একটি সুসংহত পুলিশ বাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১২ বছরে পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। পুলিশের প্রতি প্রত্যাশাও বেড়েছে মানুষের।
পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মোহাম্মদ নাজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন এমডিএস (একাডেমিক অ্যান্ড রিসার্চ) গোলাম রসুল। ডিগ্রি অর্জনকারী গ্রাজুয়েটদের মধ্যে বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা।
পেশা হিসাবে পুলিশ একটি ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস উলেখ করে আইজিপি বলেন, আমরা পুলিশের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। দেশের জনগণ আগামী দুই বছরের মধ্যে এর সুফল পাবেন। পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়াও পুনর্গঠন করা হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করছে।
পুলিশ স্টাফ কলেজকে পুলিশের ‘থিংক ট্যাংক’ অভিহিত করে তিনি বলেন, পেশাগত দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পিএসসি অনন্য ভূমিকা রাখছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) রয়েছে। ডিগ্রিপ্রাপ্ত গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে আইজিপি বলেন, পেশাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যাচের মোট ৫৭ গ্রাজুয়েটকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে পুলিশের ৩১ জন, সশস্ত্র বাহিনীর ৬ জন, আইনজীবী ৩ জন, করপোরেট সার্ভিস ৭ জন, শিক্ষক ৩ জন, চিকিৎসক ১ জন, সাংবাদিক ১ জন ও অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবী ৫ জন রয়েছেন। তিন ব্যাচে ডিগ্রি অর্জনকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল লাভ করেছেন গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা।
উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পুলিশের অ্যাপেক্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট পুলিশ স্টাফ কলেজ থেকে এ ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে।