আইনের শাসন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে

 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (ডব্লিউজেপি) গতকাল শুক্রবার বৈশ্বিক আইনের শাসন সূচক প্রকাশ করেছে। এতে ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৪তম। দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। গত বছরের মার্চে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশ ১২৮টি দেশের মধ্যে ১২২তম অবস্থানে ছিল।

wjf indexআইনের শাসন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকেই

সাতটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আইনের শাসনের এই সূচক পূর্ণ করা হয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫তম, নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতার প্রয়োগের দিক থেকে ১২২তম, ফৌজদারি বিচারের দিক থেকে ১১৭তম, দেওয়ানি বিচার পাওয়ার দিক থেকে ১২৯তম, দুর্নীতি না হওয়ার দিক থেকে ১১২তম, জননিরাপত্তায় ১১১তম এবং সরকারি তথ্য প্রকাশের দিক থেকে ১০২তম অবস্থানে রয়েছে। এই বিষয়গুলোর পাঁচটিতেই বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে নেপাল (৭০তম)। এরপরেই শ্রীলঙ্কা (৭৬) ও ভারতের (৭৯) অবস্থান। খারাপ অবস্থানের দিক দিয়ে বাংলাদেশের (১২৪) পরেই রয়েছে পাকিস্তান (১৩০) ও আফগানিস্তান (১৩৪তম)। ভুটান ও মালদ্বীপের বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।

rule of lawআইনের শাসন

আইনের শাসন সূচকে শীর্ষে অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড। অন্যদিকে আইনের শাসনের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কঙ্গো, কম্বোডিয়া ও ভেনেজুয়েলায়।

সামগ্রিকভাবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে আইনের শাসনের অবনতি হয়েছে কমবেশি সব দেশে। সূচকের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ দেশেই অবস্থার অবনতি হয়েছে। এসব দেশে বিশ্বের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের বসবাস। তবে করোনাকালে আইনের শাসনে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে উজবেকিস্তানে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, নিকারাগুয়া, চেক রিপাবলিক ও আর্জেন্টিনায়।