অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মিশনে বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মিশনে বাংলাদেশ –

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করার ভালো সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। সিরিজ জয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে আগামীকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টুয়েন্টি খেলতে নামবে টাইগাররা।

সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে গাজী টিভি এবং টি স্পোর্টসে।

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ ২৩ রানে ও দ্বিতীয়টি ৫ উইকেটে জিতে নেয় টাইগাররা। কাল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ জিততে পারলে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক টি-টুয়েন্টি জিতবে বাংলাদেশ।

ধীর গতির ব্যাটিংয়ে কারণে দু’ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলো অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে ১৩২ রানের টার্গেটে ১০৮ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। দ্বিতীয় ১৬ ওভার পর্যন্ত ভালো অবস্থায় ছিলো প্রথমে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া। তবে মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৭ উইকেটে ১২১ রানে আটকে যায় অস্ট্রেলিয়া।

তৃতীয় ম্যাচের আগে ব্যাটিং সমস্যা সমাধানের জন্য দলের খেলোয়াড়দের সতর্ক করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। নয়তো সিরিজ হার বরণ করতে হবে দলকে। সিরিজ হারলে, হোয়াইটওয়াশের হুমকির মুখে পড়বে দল।

ওয়েড বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ চার ওভারে আমাদেও ব্যাটিং ছিল খুবই হতাশাজনক। আমরা ১৩০-১৪০ রান পাবার পথে ভালো অবস্থায় ছিলাম, একটি ভালো স্কোর পাবার ট্রাকে ছিলাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাদের (বাংলাদেশী) পেসাররা ভালো করেছে এবং আমরা সেখানে আরো ভালো করার চেষ্টা করবো। উভয় দলের বোলাররা অসাধারণ করেছে। তারা যেভাবে যাচ্ছে, তাতে আমরা খুশি। আগার আবারো ভালো করেছে। আমাদের বোলিং অবশ্য সমস্যা নয়। প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম না এবং দ্বিতীয় ম্যাচের ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেনি। তৃতীয় ম্যাচে সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

অপরদিকে, প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের কন্ডিশনে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১৩১ রান করে বাংলাদেশ। তবে অতীতে এই ফরম্যাটে স্বল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারেনি টাইগাররা। কিন্তু এবার বোলাররা, বিশেষভাবে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ বল হাতে ছিলো ভয়ঙ্কর। ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক জয়ের স্বাদ নেন নাসুম।

দ্বিতীয় ম্যাচে ১২২ রানের টার্গেটে খেলতে ১২তম ওভারে ৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমনে থাকা মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউডের বিপক্ষে হাল ছাড়েনি তারা। বিশ্বের সেরা এ দুই বোলারের বিপক্ষে সাহসের সাথে ব্যাট করে দলকে হারের মুখ থেকে জয়ের স্বাদ দেন আফিফ।

তরুণদের এমন পারফরমেন্সে দ্রুত সিরিজ জয় নিশ্চিতের আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভূমিকা পালন করেছেন সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, সেটিও উল্লেখ করেছেন মাহমুদুল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘আফিফ-সোহানের লড়াই দেখে খুবই ভালো লেগেছে। তারা শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। নিজেদের পরিণত হবার চিত্র তুলে ধরেছেন তারা এবং দলের বোলাররা দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে প্রতিপক্ষকে ১২০ রানে আটকে দিয়েছে।’

এই দুই জয়ের আগে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম চার দেখায় হার বরণ করেছিলো বাংলাদেশে। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১০৪ ম্যাচে খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে টাইগারদের জয় ৩৬ ম্যাচে। ৬৬ ম্যাচে হেরেছে তারা। দুই ম্যাচের ফল হয়নি।

মূলত করোনার কারণে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দলের বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার ছাড়াই আগামীকালই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করাই লক্ষ্য বাংলাদেশ দলের।
সূত্র : বাসস