পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, দেশের চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা সতর্কতার সঙ্গে মূল্যায়ন করা দরকার, কারণ অর্থনীতিবিদরা এ সংকটটি নিয়ে অতিকথন বা অতিরঞ্জন করতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। সেটা অতিকথন কিংবা অতিরঞ্জন কি না, আমাদের ভাবতে হবে।’
আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় শামসুল আলম বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম হলে অর্থনৈতিক সংকট বলা যেত। কিন্তু আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি রয়েছে। তাই অর্থনৈতিক সংকট আছে, এ কথা বলা যাবে না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনার সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে গিয়েছিল, সেটাকে অর্থনৈতিক সংকট বলা যেতে পারে।’
ঢাকার হোটেল আমারীতে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) আয়োজিত ‘এক্সপ্লোরিং সাসটেইনেবল এনার্জি পাথওয়েজ: ফোকাসিং অন কস্ট-ইফেক্টিভনেস অ্যান্ড গ্রিন বাজেট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই বলেন বিদ্যুৎ খাতে লুণ্ঠন হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে, সেখানে লুণ্ঠন কীভাবে হবে?
‘কাউকে বঞ্চিত করে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে অর্থ নিয়ে গেলে সেটাকে লুণ্ঠন বলে। এখানে সেসব কিছুই হয়নি। তাই এখানে লুণ্ঠন-জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা উচিত হবে না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার চেয়ে যোগ্য আর কেউ আছেন এখানে? তাই বিদ্যুৎ খাতে শক্ত নেতৃত্ব প্রয়োজন, সে কথা বলা সমীচীন নয়।