টানা তিন দিনের অবরোধে ব্যাংকের নগদ টাকা ব্যবস্থাপনায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। চাহিদামতো নিরাপত্তা না পাওয়ায় অনেক ব্যাংক শাখায় টাকা পাঠাতে পারেনি। রাষ্ট্র খাতের ব্যাংকগুলোতে এ ঘটনা বেশি ঘটেছে। কিছু শাখা চাহিদামতো টাকা দিতে পারেনি। তবে একেবারে টাকা না পাওয়ার কোনো ঘটনা জানা যায়নি।
বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় সরকারি ব্যাংকের শাখাগুলোতে প্রধান কার্যালয়–সংলগ্ন স্থানীয় শাখা থেকে নগদ টাকার জোগান দেওয়া হয়। তবে অবরোধের কারণে সরকারি ব্যাংকগুলো টাকা সরবরাহ সীমিত করে ফেলে। সোনালী ব্যাংকের সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের কল্যাণপুর ও শ্যামলী শাখায় টাকা সরবরাহের সমস্যা ছিল। ফলে কাউকে কাউকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়।
সোনালী ব্যাংকের দুজন শাখা ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গল ও বুধবার টাকার চাহিদা দেওয়ার পরও সরবরাহ আসেনি। কোনো গাড়ি টাকা নিয়ে বের হয়নি। আশপাশের শাখা থেকে টাকা নিয়ে চাহিদা মেটাতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার আনসারের প্রহরায় কিছু টাকা জোগান দেওয়া হয়।
যোগাযোগ করা হলে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, টাকার কোনো ঘাটতি ছিল না। তবে চাহিদামতো পুলিশ না পাওয়ায় সরবরাহ করা যায়নি। রোববার থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কোনো সমস্যা হবে না।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ছাড়া টাকার গাড়ি পাঠানো হয় না। তবে পুলিশ না পাওয়ায় স্বাভাবিক টাকা সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। পরে আনসার দিয়ে টাকা সরবরাহ করা হয়। এটা সত্যি যে টাকা সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল না। তবে কোনো শাখা টাকা দিতে পারছে না, এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা নেই। আশপাশের শাখা থেকে টাকা সংগ্রহ করে চাহিদা মেটানোর সুযোগ আছে।