- ২৪ ডেস্ক
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কোনো গণমাধ্যম এমন কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার কিছু গণমাধ্যম আইন অমান্য করে শেখ হাসিনার একটি ‘মিথ্যা ও উসকানিমূলক’ বক্তব্য সম্প্রচার করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি হিসেবে শেখ হাসিনার বক্তব্য বা অডিও সম্প্রচার করা ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত বছরের ডিসেম্বরেই ঘৃণা ছড়ায় এমন বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীকে গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুসারে, এই দলের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচারকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং গণতান্ত্রিক নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। দেশের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম প্রথমবারের মতো একটি সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেছে, শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করে। তাই অস্থিরতা তৈরি ও সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা তার অডিও বা বক্তৃতা প্রচারে গণমাধ্যমকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই বিধিনিষেধ অমান্যকারী যেকোনো সংবাদমাধ্যমকে দেশের আইনের আওতায় জবাবদিহি করতে হবে।