Shaheed Rumi Squad

© Rasheda Khan

The hunger strike of Shaheed Rumi Squad opened a divide within the Shahbag movement, as pro-AL bloggers have gone on the attack against the hunger-strikers. But this is good. Let the opportunists depart, let AL move away from Shahbag. Perhaps these seven hunger strikers of Shaheed Rumi Squad are the heart and soul of Shahbag now. A radical movement must understand that a violent, oppressive state that has been anti-peoples everywhere else is never their friend.

From the beginning of week 2, Shahbag made a mistake by not maintaining distance from AL and govt. When Lucky was hit on the head by a BCL goon, the initial TV footage showed an angry friend of Lucky’s, at her hospital bed, shouting at camera “Tell Sheikh Hasina to come down here and see what her boys are doing.” But within 24 hours, the story changed. “Lucky bhalo ache. Lucky fire esheche. Shob bhool bojhabujhi.” Why? The movement thought, internal unity will be damaged if you critique AL. And now, the inevitable has happened.

Here is what Faruk Wasif’s thoughts on Shaheed Rumi Squad: “Mothers come, fathers come, sisters come, brothers come. Be with them, come to Shahbag. In 1971 the nation became one family, today we need to become Shahbag family. There are dark clouds in national politics, if Shahbag cannot survive, we will not survive either… Many come a lot less now. Many are only on talk shows. The hyenas are also sharpening their teeth and claws. But Hridoy never left Shahbag. Rumis never forgot their duty. The children of Jahanara never gave up. Why should I go to Shahbag? Because Rumis are there. Why should I go to Shahbag? Because there are no songs of protest, but the movement continues. Shahbag has awakened it’s nobility again.”

মা ফিরে এসেছেন সন্তানদের নিয়ে। রুমীরা শুনেছে জাহানারার ডাক। জাহানারা আমাদের ইমাম, আমরা কি তাঁর কথা রাখলাম?

কাল রাতে রুমী স্কোয়াডের নিলয়দের সঙ্গে বসে ছিলাম। ৪ বছরের শিশু রিদয়ের কথা শুনছিলাম। ছেলেটা ফুটপাতে ঘুমাতো, এখন রুমীদের সঙ্গে ঘুমায়-জাগে। তবে অনশনে জড়াতে চাইলে ধমক খায়। মুখে নিষ্পাপ ইনোসেন্স, হাসি, দুষ্টুমি আর মায়া। বলে, ‘চান্দের বুড়ি কান্দে, সাঈদী গ্যাসে চান্দে’। টেনশন তো ছিলই। রিদয়ের হাসিগানে সেসব বেমালুম ভুলে গেলাম।

শাহবাগ জেগে থাকে, কিন্তু ছোট্ট শিশুটির তো ঘুম পায়। উঠে এসে আমার কোমর জড়িয়ে শুয়ে পড়লো। ওমা, সঙ্গে সঙ্গে ঘুম। কী শান্তির ঘুম। এমনভাবে জড়িয়ে রেখেছে যেন আমারই ছেলে। ছিচকাঁদুনে না আমি, তবু কান্না চলে এল। এক রিদয় আমার বয়স অনেক বাড়িয়ে দিল। সন্তানই তো, ছেড়ে যাই কী করে? কীভাবে যেন রিদয় আর রুমীদের মুখের মায়া একাকার হয়ে গেল। আমি সত্যদর্শন করলাম।

সত্যে ভরসা আসে: ওরা পারবে। ওরা ইনোসেন্স হারায়নি, ওরা জেদ ভোলেনি। শাহবাগ যে আবেগ আর সংকল্পের বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছিল, ওরা সেই প্রাণভোমরাটিকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। ওদের ঘিরে তাই মশাল জ্বলছে, মানুষ জমছে, আশা দানা বাঁধছে। এই সত্য কে অস্বীকার করবে?

শাহবাগে জাহানারা ইমামের বিশাল প্রতিকৃতিটা রুমীরাই স্থাপন করেছিল। মা’কে ঘিরে লক্ষ লক্ষ সন্তান জ্বোনাকির মতো আলো হাতে দাঁড়িয়েছিল। গান বাজছিল, ‌’আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে’। সেই শান্ত ছেলেমেয়েরাই কী অসাধারণ কাজ করেছে।

অনেকে এখন কম আসেন। অনেককে বেশি দেখি টকশোতে। হায়েনাদেরও দেখি দাত-নখ শানাতে। কিন্তু রিদয়রা শাহবাগ কখনোই ছাড়েনি। রুমীরা দায়িত্ব ভোলেনি, জাহানারার সন্তানেরা হতাশ হয়নি। শাহবাগে কেন যাব? কারণ রুমীরা আছে। শাহবাগে কেন যাব? কারণ প্রতিবাদ জারিগান হয়নি, সংগ্রাম জারি আছে। শাহবাগ তার মহিমা আবার জাগিয়েছে।

কিন্তু মা জাহানারাদের মনে শান্তি নাই। ছেলেমেয়েরা ভুখা আছে, জেগে আছে, লড়াইয়ে আছে। অদেখা সেই মায়েরা ভাববেনই, কোন জীবন বেশি দরকারি, রুমীদের না ঘাতকদের? বুকের ধন না খেয়ে থাকবে, রাস্তায় রাত কাটাবে, জীবনের ঝুঁকি নেবে আর গণহত্যার খুনীরা জেলে ও জেলের বাইরে নিরাপদ বিলাসে জীবন কাটাবে, এটা কীভাবে সম্ভব?

তবে তা-ই হোক, স্বাধীনতার সুখ আর মর্যাদা আমাদের জন্য হারাম হোক, যতদিন না সত্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, যতদিন না রুমীর মায়েরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন, যতদিন না আগামির রুমীদের জীবন নিরাপদ হচ্ছে। আমরা কেবল একাত্তরের সুবিচার চাইছি না, ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে পুণরায় গণহত্যা-নাশকতার হাত থেকে চিরতরে মুক্ত করতে চাইছি।

রিদয় শান্তিতে রুমীদের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। রুমীরা জেগে ছিল। মায়েরা আসুন, বাবারা আসুন, বোনেরা আসুন, ভাইয়েরা আসুন। ওদের পাশে থাকুন, শাহবাগে আসুন। একাত্তরেও যেমন জাতিটাই এক পরিবার হয়ে উঠেছিল, আবার আসুন আমরা শাহবাগ পরিবার হয়ে উঠি। রাজনীতিতে অশনি সংকেত, শাহবাগ না বাঁচলে আমরাও বাঁচব না।

জয় বাংলা।

Source: ALAL O DULAL