খাবার সঙ্কটে খালেদার কার্যালয়
পুলিশ খাবারের গাড়ি ঢুকতে না দেওয়ায় খাবার সঙ্কটে পড়েছেন গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মী ও কর্মচারীরা।
বুধবার রাতের মতো বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরেও গুলশান কার্যালয়ের জন্য আনা খাবার আটকে দিয়েছে পুলিশ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুকনো খাবার, ফলমূল-জুস খেয়ে আমি এ পর্যন্ত চলছি। এই কার্যালয়ে যারা আছেন, তারা একইভাবে শুকনো খাবার খেয়ে আছেন।”
কর্মচারীসহ অন্যদের খাবার আটকে দিলেও খালেদা জিয়ার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনরা খাবার নিয়েই ঢুকছেন ওই কার্যালয়ে। তাদের কোনো বাধা দিচ্ছে না পুলিশ।
৫ জানুয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি বের হওয়ার সময় পুলিশের বাধা পেয়ে গুলশান ২ নম্বর সড়কের ৮৬ নম্বর সড়কের ওই বাড়িতে অবস্থান নেন।
এরপর অবরুদ্ধ অবস্থায় লাগাতার অবরোধের ডাক দিয়ে ওই কার্যালয়ে অবস্থান নেন তিনি। এর মধ্যে তার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগও ২০ ঘণ্টার জন্য বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ইন্টারনেট ও কেবল টিভির সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
খালেদার সঙ্গে ওই কার্যালয়ে মারুফ কামাল খান ছাড়াও রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সেলিমা রহমান, আব্দুল কাউয়ুম, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এবং নেতা-কর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মচারী মিলিয়ে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি।
কিছু দিন ঘেরাও করে রাখার পর এখন ওই কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সংখ্যা কম হলেও কারা ঢুকছেন, তার ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন এসবি সদস্যরা।
সকালে নাস্তার প্যাকেট নিয়ে ঠেলাগাড়ি এলে পুলিশ সদস্যরা তা ফিরিয়ে দেয়। একইভাবে দুপুর আড়াইটার দিকে খাবার নিয়ে এলে তাও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
মারুফ কামাল বলেন, “কোন আইনে খাবার ঢুকতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে, তা বোধগম্য নয়।”
ওই কার্যালয়ের সামনে থাকা পুলিশের বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তার কাছে খাবার ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ওপরের নির্দেশ আছে, ভেতরে কোনো খাবার যাবে না।”
কার্যালয়ের কর্মীরা জানান, ভেতরে এত মানুষের খাবার রান্নার ব্যবস্থা নেই। খাবার ঢুকতে না দেওয়ায় বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার দুপুরে সামান্য রান্না হয়েছিল। এরপর থেকে মুড়ি, বিস্কুটসহ শুকনো খাবার খাচ্ছেন তারা।
তবে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবালমান্দ বানুর বাসা থেকে সকালেও খালেদা জিয়ার জন্য খাবার এসেছে। তা ঢুকতে বাধা দেয়নি পুলিশ।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর আহলে দরবার শরিফ মসজিদের আবদুল মজিদসহ চারজন কিছু তবারক নিয়ে কার্যালয়ে এলে তাদের ২৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখে পুলিশ সদস্যরা। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে দুজনকে তবারকসহ ঢুকতে দেওয়া হয়।
মজিদ জানান, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিকালে কোরআন তিলওয়াত ও মিলাদ মাহফিল হয়। ওই মিলাদের তবারক নিয়ে আসেন তারা।
Source: bdnews24