বেচারি হ্যাপি ও বেচারা গণতন্ত্র
চিত্র নায়িকা বেচারি হ্যাপি। আপাতত ভুল জায়গায় হাত দিয়ে ফেলেছে। নারী জীবনের সকল অমূল্য সম্পদ উজাড় করে দিয়ে ও বেহায়ার মত তা প্রকাশ করে এখন চরম বেকায়দায়। আজ সে সমাজের উপহাসের পাত্রী। নষ্টা,ভ্রষ্টা সহ এই ধরনের সকল বিশেষণ তার উপর বর্ষিত হচ্ছে। প্রাক্তন প্রেমিক রুবেল তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিলেও এখন তার কিছুই করার নেই।
রুবেল যেহেতু প্রমান করতে পেরেছে যে সে মাওলানা গোছের পুরুষ না, কাজেই তার আর কোন ভয় নেই। কাজেই হ্যাপিকে ফ্রিস্টাইলে মাগি,চুতিয়া বলে গালি দিলে নারী জাতির অবমূল্যায়ন হবে না। নারী অথবা গণতন্ত্রকে যখন মাওলানা গোছের মানুষেরা ধর্ষন বা নির্যাতন করে তখনই শুধু নারীবাদী তথা মুক্তচিন্তার টনক নড়ে। অ-মাওলানা গোছের কেউ তা করলে তেমন সমস্যা হয় না।
তাছাড়া পুরুষ মানুষের আবার চরিত্র কিসের ?
এক হ্যাপি নাখোশ হলে এই রুবেলের এখন কিছুই যায় আসে না। এখন শত শত হ্যাপি তাকে পাওয়ার জন্যে উদগ্রীব হয়ে রয়েছে । এখন শুধু হ্যাপি নয় – কাতর চোখে সফল পুরুষ রুবেলের এই পৌরুষিক কর্মকান্ড দেখছে পুরো দেশ।
নারীবাদীদের মুখেও কুলুপ এঁটে দিয়েছে সফল পুরুষ রুবেল । ক্রিকেটে সফলতা রুবেলের চরিত্রের সকল দোষ যেন ঢেকে দিয়েছে । রাজনীতিতে সফল পুরুষ এরশাদের মতই ক্রিকেটের সফল পুরুষ আজ এই রুবেল।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তার অন্যতম নায়ক হয়ে পড়েছেন এই রুবেল। এখন তার জন্যে এই ধরনের সাত খুন মাফ। দেশের তাবদ নারী নেত্রীরাও এই নায়কের সফলতার সামনে তাদের উচু শিরটি মনে হচ্ছে নত করে ফেলেছেন। এখন এক হ্যাপির সকল উপাখ্যান জেনেও অন্য হ্যাপিরা প্রকাশ্য স্টেডিয়ামে প্লেকার্ড উচিয়ে ধরে, Marry me Rubel , I can make you happy.
হ্যাপির মতই বিপদে পড়েছে এদেশের গণতন্ত্র। এরশাদ,নাসিম ও তোফায়েলদের হাতে এদেশের গণতন্ত্রও অাচ্ছামত ধর্ষিত হয়েছে। রুবেল যেমন করে হ্যাপির মুখ বন্ধ করতে চাচ্ছে, হ্যাপির সরলতা বা আহাম্মকিকে পুজি করে নিজের লালসা চরিতার্থ করেছে – এরাও তেমনি দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের নামে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। হ্যাপির প্রতি রুবেলের প্রেম আর গণতন্ত্রের প্রতি এরশাদ-নাসিম-তোফায়েলদের প্রেম একই পর্যায়ের। এখন হ্যাপি যেমন ভাবে দেখছে রুবেলের চেহারা, দেশের মানুষ করুণ চোখে দেখছে নাসিম ও তোফায়েলদের ধূর্ততা ও শঠতা ।
দুটি ক্ষেত্রেই দেশের মরাল ব্রিগেইড বা মূল ধারার মিডিয়া আশ্চর্যজনকভাবে চুপ মেরে গেছে। অধিকন্তু রুবেল, এরশাদ,নাসিম ও তোফায়েলদের কর্মগুলি যাতে আরো নির্বিঘ্নে সমাধা হতে পারে, তার জন্য নানা ফন্দি ফিকির করে যাচ্ছে।
কিন্তু সাধারন মানুষ বসে নেই । রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শুক্রবার দুপুরে ইউনাইটেড ইসলামি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় হঠাৎ মঞ্চে উঠে পড়েন মহিবুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। এসময় মন্ত্রীর সামনেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘মন্ত্রী সব মিথ্যা কথা বলছেন’।
মতলববাজ মিডিয়া মুখ বন্ধ করে রাখলেও সাধারন মানুষ তা করবে না।
এটাই সাধারন মানুষের বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলা রুবেল ও নাসিমদের জন্যে ভয়ের কারন । হিরো থেকে আবার জিরো হতে এদের একটুও সময় লাগবে না।
তাছাড়া পুরুষ মানুষের আবার চরিত্র কিসের ?
এক হ্যাপি নাখোশ হলে এই রুবেলের এখন কিছুই যায় আসে না। এখন শত শত হ্যাপি তাকে পাওয়ার জন্যে উদগ্রীব হয়ে রয়েছে । এখন শুধু হ্যাপি নয় – কাতর চোখে সফল পুরুষ রুবেলের এই পৌরুষিক কর্মকান্ড দেখছে পুরো দেশ।
নারীবাদীদের মুখেও কুলুপ এঁটে দিয়েছে সফল পুরুষ রুবেল । ক্রিকেটে সফলতা রুবেলের চরিত্রের সকল দোষ যেন ঢেকে দিয়েছে । রাজনীতিতে সফল পুরুষ এরশাদের মতই ক্রিকেটের সফল পুরুষ আজ এই রুবেল।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তার অন্যতম নায়ক হয়ে পড়েছেন এই রুবেল। এখন তার জন্যে এই ধরনের সাত খুন মাফ। দেশের তাবদ নারী নেত্রীরাও এই নায়কের সফলতার সামনে তাদের উচু শিরটি মনে হচ্ছে নত করে ফেলেছেন। এখন এক হ্যাপির সকল উপাখ্যান জেনেও অন্য হ্যাপিরা প্রকাশ্য স্টেডিয়ামে প্লেকার্ড উচিয়ে ধরে, Marry me Rubel , I can make you happy.
হ্যাপির মতই বিপদে পড়েছে এদেশের গণতন্ত্র। এরশাদ,নাসিম ও তোফায়েলদের হাতে এদেশের গণতন্ত্রও অাচ্ছামত ধর্ষিত হয়েছে। রুবেল যেমন করে হ্যাপির মুখ বন্ধ করতে চাচ্ছে, হ্যাপির সরলতা বা আহাম্মকিকে পুজি করে নিজের লালসা চরিতার্থ করেছে – এরাও তেমনি দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের নামে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। হ্যাপির প্রতি রুবেলের প্রেম আর গণতন্ত্রের প্রতি এরশাদ-নাসিম-তোফায়েলদের প্রেম একই পর্যায়ের। এখন হ্যাপি যেমন ভাবে দেখছে রুবেলের চেহারা, দেশের মানুষ করুণ চোখে দেখছে নাসিম ও তোফায়েলদের ধূর্ততা ও শঠতা ।
দুটি ক্ষেত্রেই দেশের মরাল ব্রিগেইড বা মূল ধারার মিডিয়া আশ্চর্যজনকভাবে চুপ মেরে গেছে। অধিকন্তু রুবেল, এরশাদ,নাসিম ও তোফায়েলদের কর্মগুলি যাতে আরো নির্বিঘ্নে সমাধা হতে পারে, তার জন্য নানা ফন্দি ফিকির করে যাচ্ছে।
কিন্তু সাধারন মানুষ বসে নেই । রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শুক্রবার দুপুরে ইউনাইটেড ইসলামি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় হঠাৎ মঞ্চে উঠে পড়েন মহিবুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। এসময় মন্ত্রীর সামনেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘মন্ত্রী সব মিথ্যা কথা বলছেন’।
মতলববাজ মিডিয়া মুখ বন্ধ করে রাখলেও সাধারন মানুষ তা করবে না।
এটাই সাধারন মানুষের বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলা রুবেল ও নাসিমদের জন্যে ভয়ের কারন । হিরো থেকে আবার জিরো হতে এদের একটুও সময় লাগবে না।