আগামী ৬ মার্চ ঢাকা অভিমুখে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চের আগেই সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ঢাকা। শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলার দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে । নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে জেলার বাস মালিক সমিতি বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অনেক আগে থেকেই ঢাকামুখী লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করে হেফাজতে ইসলাম। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে সমাবেশে করবে সংগঠনটি।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, পটুয়াখালী, রাজশাহী, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বগুড়া ও খুলনাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা থেকেই ঢাকামুখী দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া মাদারীপুর-কাওড়াকান্দি রুটেও নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রাজশাহী-ঢাকা রুটে আজ সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোরে কয়েকটি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও সকাল ৮টার পর থেকে রাজশাহীর ঢাকা টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়েনি।
পটুয়াখালীতে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা। জানা গেছে, হেফাজতের পূর্ব ঘোষিত লংমার্চ কর্মসূচি প্রতিরোধ করতে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম মওলা দুলু জানান, হরতালের আগের দিন যেহেতু গাড়ি ভাঙচুর হয় সে কারণে শুক্রবার সকাল থেকেই গাড়ি চালানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন তারা। একই মত প্রকাশ করেছেন বরিশাল বিভাগীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি।
নিরাপত্তাজনিত কারণে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা রুটে সব যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা পরিবহন মালিক সমিতি। চুয়াডাঙ্গা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটা থেকে যে সকল বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল তাও বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমন-করিমন বন্ধের দাবিতে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর রুটে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। এ ছাড়া গাবতলী বাস ডিপো থেকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরের উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে আসবে না।
৬ মার্চ হেফাজতের লংমার্চ ঠেকাতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার ৬টা সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ ২৫ সংগঠন। একই সাথে শাহবাগ আন্দোলনকারীরাও ২২ ঘন্টার হরতালের ডাক দেয়।
Source: The Daily Naya Diganta