আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিকল্প বিএনপি নয়; গণতন্ত্র, আওয়ামী লীগ ও সরকারের বড় শত্রু এখন জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমানে যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতে বামদের ঐক্য প্রয়োজন। তাদের এ ঐক্য আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি হিসেবে গড়ে তুলবে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কয়েকটি বাম সংগঠন আয়োজিত সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী ঐক্য কনভেনশনে তিনি এ কথা বলেন।
বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আশরাফ বলেন, আপনারা যে মুলতবি প্রস্তাব ফিরিয়ে নিয়েছেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তা আবার দিন। আগামী নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংসদে এসে প্রাণবন্ত আলোচনা করুন। আমরা কথা দিচ্ছি, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে আমরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করব না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আশা করেছিলাম বিরোধী দল সংসদের মাধ্যমে জাতির কাছে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন। আমরাও জাতির কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরব। কিন্তু তারা সংসদে এসে তাদের দেয়া সে মুলতবি প্রস্তাব তুলে নিয়ে প্রমাণ করল, তারা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায় না; তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়।
পঙ্কজ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, অজয় রায়সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির রাজনীতি প্রসঙ্গ তুলে আশরাফ বলেন, বিএনপি এতই দেউলিয়া হয়ে গেছে যে, সরকারি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক মোকাবিলায় আসতে চায় না। এ কারণে তারা জামায়াত ও হেফাজতের কোলে আশ্রয় নিয়েছে। এটা দেশের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ ঘটনা।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আশা করেছিলাম বিরোধী দল বাজেটকে বিশ্লেষণ করবেন। বাজেটের সব জনবান্ধব প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা আর জনবিরোধী প্রস্তাব বাতিল করতে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করবে। আগে তারা বাজেটবিরোধী মিছিল করত, কিন্তু বর্তমান বিএনপি তা না করে একটি দায়সারা সংবাদ সম্মেলন করে দায়িত্ব শেষ করেছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (সিপিডি) বাজেট প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে আশরাফ বলেন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য সিপিডির প্রধান কর্মকর্তা নন। তার পরও তিনি বাজেট নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আমাদের সন্দেহ হয়, এটা সিপিডির, না দেবপ্রিয় সাহেবের বাজেট প্রতিক্রিয়া। সিপিডির মতো ইনস্টিটিউটও আজকে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। একটি রাজনৈতিক সরকারের বিরোধী একটি এনজিও হতে পারে না।
বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক তথাকথিত বুদ্ধিজীবী টেলিভিশনে টকশোতে আসেন। তুলা উত্পাদন ব্যাহত, অকাল বন্যার কারণ, বাজেট ইত্যাদি সব বিষয়ে তারা কথা বলেন। পৃথিবীর সব বিষয় ও ডিসিপ্লিনে তারা কথা বলেন। এরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান না, নির্বাচন চান না। এরা কিছু দিনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হতে চান।
Source: Amardesh