মানবজমিন ডেস্ক
(১ ঘন্টা আগে) ১০ মে ২০২৫, শনিবার, ১২:২৩ অপরাহ্ন
ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) জরুরি মিটিং আহ্বান করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এটি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক-সামরিক পরিষদ। দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের হাতে। একই সঙ্গে কৌশলগত ‘অ্যাসেটস’ও তাদের নিয়ন্ত্রণে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ভয়ঙ্কর এক রূপ নিতে যাচ্ছে।
দুই পক্ষই হামলা-পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের জবাবে পাকিস্তান পরিচালনা করছে অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসুস। এই উত্তেজনা এখন বিশ্ববাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফোন করে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানিয়েছেন। উভয় দেশকে শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে চীন।
এমন প্রেক্ষাপটে শেহবাজ শরীফ এনসিএর জরুরি বৈঠক নিয়ে আগ্রহ পর্যবেক্ষক মহলে। কারণ, তিনি কি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেবেন? নাকি এগুলোকে আরও সংযত রাখার আহ্বান জানাবেন, সেটাই দেখার বিষয়। অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে, পাকিস্তান শনিবার দিনের শুরুতে ভারতের উচ্চমাত্রার সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করেছে। এতে উধমপুর বিমানঘাঁটি, পাঠানকোট এয়ারফিল্ড, আদমপুর এয়ারফিল্ড এবং বিয়াসে ব্রহ্ম ক্ষেপণাস্ত্রের সংরক্ষণাগার ধ্বংস হয়ে গেছে।
পাকিস্তান বলেছে, এসব স্থান থেকে অমৃতসর, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হতো। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, জি-টপে ভারতের ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার এবং উরিতে সরবরাহ ডিপো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে দেহরাঙ্গিয়ারিতে সামরিক আর্টিলারি পজিশন এবং নাগ্রোটায় ব্রহ্ম সংরক্ষণাগারে হামলা করেছে পাকিস্তান। এতে ভারি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন অপারেশনকালে পাকিস্তান আল ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।