ঢামেকে জরুরি বিভাগে সেবা বন্ধ, কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

mzamin

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) আহসানুল হক দীপ্ত নামে এক শিক্ষার্থীর অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের মারপিটের ঘটনায় জরুরি বিভাগে সেবা বন্ধ রয়েছে। এই ঘটনায় কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রোববার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

এর আগে গতকাল শনিবার বিকালের দিকে ওই শিক্ষার্থীর অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের মারপিটের অভিযোগ ওঠে। এতে নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান, মাশরাফি ও জুবায়ের আহত হন। এই ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

মারপিটের শিকার চিকিৎসক ইমরান বলেন, ‘বিইউবিটির এক শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের এখানে মারা যায়। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো কথা না বলেই অপারেশন থিয়েটার থেকে  আমাদের তিন চিকিৎসককে বের করে মারপিট করেন। এমনকি আমাদের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ড থেকে মারতে মারতে পরিচালকের রুম পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন এটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, বিইউবিটির ভিসি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভাকক্ষে আলোচনা করেছি।
একজন শিক্ষার্থী মারা গেছেন আমরা মর্মাহত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে চিকিৎসকদের তারা মারপিট করতে পারেন।

চিকিৎসকদের যদি কোনো অবহেলা বা কোনো ধরনের গাফিলতি থাকে তাহলে তারা হাসপাতালের পরিচালকের কাছে এসে অভিযোগ করতে পারতেন। কিন্তু তারা সেটি না করে তিন চিকিৎসককে মারপিট করেছে যা খুবই দুঃখজনক এবং মানা যায় না।’ 

ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়া জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং আমি চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করছি তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমি নিলাম। আমি সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এখানে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় জরুরি বিভাগে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

manabzamin