জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করাকে নিন্দনীয়, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের চলমান ইস্যুকে ধামাচাপা দিতে নতুন বিতর্ক, নতুন ইস্যু সামনে আনা হচ্ছে, যা বুমেরাং হতে বাধ্য। পরিকল্পিতভাবে ইস্যু বানানোর পুরাতন কার্ড নতুন করে খেলে আওয়ামী লীগ জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে পারবে না।
বিবৃতিতে জামায়াত নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দলের পক্ষ থেকে ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হত্যা, নৃশংসতা, দমন-নিপীড়নের জন্য সরকার দেশ-বিদেশে তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা, চাপের মুখোমুখি। দেশের ঘরে ঘরে সরকারের পদত্যাগের দাবি উচ্চারিত হচ্ছে। এ সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন ও চাপে রাখতে বিশ্বাসযোগ্য কোনো তদন্ত ছাড়াই নিজেদের দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানোর অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসব হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেরা পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি আরও জটিল ও সংঘাতময় করে তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানোর আশঙ্কা করছে দেশবাসী। এ জন্য দেশবাসী ও রাজনৈতিক দলসহ সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাই।
‘তৃতীয় শক্তি’র হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ ‘মিথ্যাচার’: এদিকে পৃথক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল কোটা সংস্কার আন্দোলনে ‘তৃতীয় শক্তি’র হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগকে সরকারের ‘মিথ্যাচার’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, সরকারপ্রধান, মন্ত্রী-নেতারা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু আওয়ামী ভাবাপন্ন সদস্য প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছেন। আর বলছেন, তথাকথিত ‘তৃতীয় শক্তি’ নাকি গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। অথচ বিশ্বের মানুষ দেখেছে ছাত্রসহ সাধারণ জনতার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।
samakal