দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছেন মাত্র ১ ওভার। উইকেট পাননি, দিয়েছেন ৬ রান। ব্যাট হাতে আউট হন মাত্র ৩ রান করে। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও বোলিংয়ের কোটা পূর্ণ করেননি। ব্যাট হাতে দলকে বিপদে ফেলে ৮ রান করে আউট হয়ে গেছেন।
এমন বিবর্ণ সাকিবকে আর বাংলাদেশ দলে দেখতে চান না ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ। ক্রিকবাজে শেবাগ বলেছেন, সাকিবের আরও আগেই অবসর নেওয়া উচিত ছিল। বিশ্বকাপের পর সাকিবকে আর খেলানো উচিত নয় বলেও মনে করেন শেবাগ।
ব্যাট হাতে সাকিব ধুঁকছেন অনেক দিন ধরে। টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ ফিফটি পেয়েছেন ২০২২ সালে, ১৯ ইনিংস আগে। সর্বশেষ দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সাকিবের ব্যাটিং পারফরম্যান্স ছিল খুবই বাজে। ২০২১ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে রান করেছিলেন ১৩১। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ ইনিংসে করেছেন মাত্র ৪৪। আর এবারের বিশ্বকাপটা শুরু করেছেন বিবর্ণভাবে। তাঁর এমন পারফরম্যান্সে ক্ষিপ্ত শেবাগ ধুয়ে দিয়েছেন সাকিবকে।
সাকিবের অবসরের সময় হয়ে গেছে কি না, এমন প্রশ্নে শেবাগ বলেছেন, ‘গত বিশ্বকাপেই আমার এমন মনে হয়েছে, ওকে আর টি-টোয়েন্টিতে খেলানো উচিত নয়। অনেক আগেই ওর অবসর নেওয়ার সময় হয়েছে। তুমি এত সিনিয়র ক্রিকেটার, নিজে অধিনায়ক ছিলে, তোমার পরিসংখ্যানের অবস্থা এমন, সাকিবের নিজেরই তো লজ্জা পাওয়া উচিত। নিজেরই বলা উচিত, আমি এই সংস্করণ থেকে অবসর নিচ্ছি।’
তিনি যোগ করে বলেছেন, ‘আমি তো দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বিশ্বকাপ, যেটা শ্রীলঙ্কায় হয়েছিল। তখন যখন ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, আফগানিস্তানে একটা পেসার ছিল, স্বাচ্ছন্দ্যে আমি যখন ওদের মারতে পারছি, নির্বাচকদের বলে দিয়েছিলাম, আমাকে যেন টি-টোয়েন্টি দলে রাখা না হয়। আমি ওয়ানডে ও টেস্ট খেলব। দিন শেষে নিজে তো বোঝা যায় আমার ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না, বোলিং ভালো হচ্ছে না, দলের জন্য অবদানই রাখতে পারছি না। তাহলে খেলে কী হবে? আমার হিসেবে তো ওর (অবসরের) সময় আগেই হয়েছে।’
গতকাল সাকিব আনরিখ নর্কিয়ার বলে পুল করতে গিয়ে আউট হন। এই শটের সমালোচনা করে শেবাগ বলেছেন, ‘অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বলেই যদি তাকে বিশ্বকাপে আনা হয়, তাহলে সেটা করে দেখাক। এই উইকেটে কিছু সময় তো দাও। তুমি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট কিংবা ম্যাথু হেইডেন নও। তুমি বাংলাদেশের খেলোয়াড়। সেটা হিসাব করে খেলো। হুক-পুল তোমার শট নয়। তোমার যেটা শট, সেটা খেলো, অন্তত উইকেটে তো থাকো।’
বিশ্বকাপের পর সাকিবকে আরে দলে দেখতে চান না শেবাগ। তাঁর মতে নির্বাচকদের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, ‘কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নির্বাচকদের এসেছে। তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, যদি আপনি ফল না পান, তাহলে তরুণদের সুযোগ দিয়েই ম্যাচ হারুন। অন্তত তাতে ওদের অভিজ্ঞতা তো হবে। এরা তো তা থেকে কিছু শিখবে, সামনে অবদান রাখতে পারবে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে কেন নিয়ে আসা হয়-কারণ, সে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। দলের পরিবেশ ঠিক রাখে, অভিজ্ঞতা দিয়ে রান করবে, উইকেট নেবে, ডট বল দেবে। সাকিব তো এসব কিছুই করতে পারছে না। আমার মনে হয় না এই বিশ্বকাপের পর ওর খেলা উচিত। কিংবা ওকে খেলানো উচিত।’
prothom alo